চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ডি-ডে’র ৭৫ বছর ইউরোপে আমন্ত্রণ না পেয়ে ‘উদ্বিগ্ন নন’ পুতিন

৮ জুন, ২০১৯ | ২:০৭ পূর্বাহ্ণ

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্রবাহিনীর নরম্যান্ডি উপকূল জয়ের দিন ডি-ডে’র ৭৫ বছরপূর্তিতে অন্য বিশ্বনেতাদের মতো ইউরোপে আমন্ত্রণ না পাওয়ার ঘটনাকে ‘সমস্যা’ হিসেবে দেখছেন না বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন।
সর্বশেষ ২০১৪ সালে ডি-ডে’র ৭০তম বার্ষিকীতে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
গত বৃহস্পতিবারের আয়োজনে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের অন্যান্য দেশের নেতৃবৃন্দ থাকলেও রাশিয়ার কোনো শীর্ষ নেতাকে দেখা যায়নি বলে জানিয়েছে বিবিসি। গত শতকের মাঝামাঝি হওয়া ওই বিশ্বযুদ্ধে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের আড়াই কোটিরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।
সংখ্যার বিচারে এটি ছিল যে কোনো দেশের তুলনায় অনেক বেশি।
পশ্চিমা দেশগুলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসকে নিজেদের মতো করে উপস্থাপন করে এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের অবদান ও ত্যাগের মূল্যায়ন করতে চায় না বলেও অভিযোগ রাশিয়ার।
ডি-ডে ‘মোটেও যুদ্ধের পট পরিবর্তনের দিন ছিল না’, চলতি বছর এমন দাবিও করেছে পুতিনের সরকার। ইউরোপে আমন্ত্রণ না পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় রুশ প্রেসিডেন্ট বলেছেন, নিজের দেশেই তার অনেক কাজ পড়ে আছে।
ডি-ডে’র ওই অভিযানেই ‘যুদ্ধের ভবিষ্যৎ’ ঠিক হয়ে গিয়েছিল বলে বৃহস্পতিবার নরম্যান্ডিতে নিহত যোদ্ধাদের স্মরণ করে বলেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে।
এ ভাষ্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, স্টালিনগ্রাদ ও কুর্সকে সোভিয়েত রেড আর্মির হাতে জার্মান বাহিনীর পরাজয়ের পরই কেবল নরম্যান্ডি জয় অনিবার্য হয়ে উঠেছিল।
“দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ফলাফল নির্ধারণে নরম্যান্ডি অভিযান মোটেও এতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল না,” বলেছেন রুশ সরকারের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভ। পশ্চিমা দেশগুলো কেন তাদের ফ্রন্টকেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রধান যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করতে চায়, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাশিয়ার জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম কমোসোমোস্কায়া প্রাভদা।

শেয়ার করুন