শান্তিতে নোবেলজয়ী মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চিকে ‘সাখারভ প্রাইজ কমিউনিটি’ থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। দেশটির সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন সমর্থনের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেয় ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট (ইপি)। খবর আল জাজিরা’র।
ইপি’র একটি সূত্র জানায়, পুরস্কার প্রত্যাহার সম্ভবপর না হওয়ায় বৃহস্পতিবার তাকে পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। এটিই ইপি’র সবচেয়ে শক্তিশালী নিষেধাজ্ঞা।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নিপীড়নের মুখে ২০১৭ সালে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানুষ পালিয়ে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। গণহত্যার অভিপ্রায়ে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে উপসংহার টেনেছেন জাতিসংঘের তদন্তকারী দল।
রোহিঙ্গাদের উপর গণহত্যা ও সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে নিপীড়নের অভিযোগ বারবারই অস্বীকার করে আসছে মিয়ানমার। রোহিঙ্গা জঙ্গিদের হাত থেকে দেশ রক্ষার লক্ষ্যে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে বলে তাদের দাবি।
এদিকে, গত ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিজে) দেয়া এক ভাষণে গণহত্যায় অভিযুক্ত মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রতি সমর্থন জানান অং সান সু চি। ৩০ মিনিটের ওই ভাষণে তিনি একবারও রোহিঙ্গা শব্দটি উচ্চারণ করেননি।
সমালোচকরা বলছেন, সু চি’র এই প্রত্যাখ্যানে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের পরিচয় ও অধিকার খর্বের অংশ হয়ে থাকবে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯০ সালে সু চিকে সাখারভ পুরস্কার প্রদান করে ইপি। এটি ছিল মানবাধিকারের পক্ষে লড়াইরতদের জন্য সর্বোচ্চ পুরস্কার। ইপি’র ঘোষণার ফলে এখন থেকে এই পুরস্কার জয়ীদের কোনও অনুষ্ঠানে সু চি অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
পূর্বকোণ/আরপি