প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিবাসন-বিরোধী মনোভাবের কারণে ১০ সহস্রাধিক বাংলাদেশিসহ ৬ লক্ষাধিক গ্রীণকার্ডধারীর সিটিজেনশিপ পাচ্ছে না । করোনার কারণে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ সংক্রান্ত অ-জরুরি সকল কাজকর্ম বন্ধ থাকার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। যার কারণে পারিবারিক কোটা, বিনিয়োগ কোটা, বিশেষ ক্যাটাগরিতে গ্রীণকার্ডের ভিসাও স্থগিত রয়েছে।
ইউএসসিআইএস অফিসের পদস্থ এক কর্মকর্তা নাম গোপন রাখার শর্তে ৩১ আগস্ট এ সংবাদদাতাকে জানান, ট্রাম্পের কঠোর নীতির কারণে অভিবাসীদের গড়া এই যুক্তরাষ্ট্রে আজ অভিবাসীরাই নিগৃহীত। লাখ লাখ অভিবাসীর কাছে থেকে নির্ধারিত অংকের ফি নিয়ে নানা কর্মসূচির আবেদন গ্রহণ করেছি।
জানা গেছে, ২০১৬ সালের নভেম্বরের নির্বাচনে ট্রাম্প জয়ী হবার পরই গ্রীণকার্ডধারীদের মধ্যে সিটিজেনশিপ গ্রহণের হিড়িক পড়ে যায়। কারণ, মামুলি অপরাধের জন্যেও গ্রীণকার্ড কেড়ে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করা যায়। তবে সিটিজেন হলে সেটি সম্ভব হয় না।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী করোনার পরিপ্রেক্ষিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এ মাসে ৪ শতাধিক অভিবাসী সিটিজেন হিসেবে শপথ নিয়েছেন। অথচ গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত সিটিজেনশিপের পেন্ডিং আবেদনের সংখ্যা ছিল ৭ লক্ষাধিক। ইউএসসিআইএস’র তথ্য অনুযায়ী মধ্য মার্চে সারা আমেরিকা লকডাউনে যাবার আগ পর্যন্ত এক লাখ ৫৬ হাজার ৮৪৯ জনের আবেদনের প্রসেসিং সম্পন্ন হয়েছিল।
পূর্বকোণ/ আরআর