বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীণ ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিক ফ্রেডি ব্লম আর নেই। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১১৬ বছর।
ব্লমের পরিবার জানিয়েছে, শনিবার কেইপ টাউনে স্বাভাবিকভাবেই তার মৃত্যু হয়েছে।
“দুই সপ্তাহ আগেও ওউপা (দাদা) কাঠ কাটতেন। তিনি শক্তিশালী, গর্বে পরিপূর্ণ একজন মানুষ ছিলেন,” পরিবারের মুখপাত্র আন্দ্রে নাইডু আন্তর্জাতিক এক বার্তা সংস্থাকে একথা বলেছেন।
কিন্তু তার দাদা কিছুদিনের মধ্যেই ‘বড় একজন ব্যক্তি থেকে সঙ্কুচিত হয়ে ছোট একজন মানুষে’ পরিণত হয়েছিলেন বলে জানান তিনি।
নাইডু জানিয়েছেন, তাদের পরিবারের বিশ্বাস তার দাদার মৃত্যুর সঙ্গে করোনাভাইরাসের কোনো সম্পর্ক ছিল না।
ব্লমের পরিচয়পত্রের তথ্য অনুযায়ী, ১৯০৪ সালের মে মাসে ইস্টার্ন কেইপ প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। তবে গিনেজ বুক অব ওয়াল্ড রেকর্ডস কখনোই বিষয়টি সত্যায়িত করেনি বলে জানিয়েছে বিবিসি।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ১৯১৮ সালের স্প্যানিশ ফ্লু মহামারিতে কিশোর ব্লুমের পুরো পরিবারের মৃত্যু হয়। তিনি দুটি বিশ্বযুদ্ধ এবং বর্ণবাদ আন্দোলনের সাক্ষী ছিলেন।
২০১৮ সালে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্লম জানিয়েছিলেন, তার দীর্ঘজীবনের পেছনে বিশেষ কোনো গূঢ় রহস্য নেই।
তিনি বলেছিলেন, “একটিমাত্র বিষয় আছে, সেটি হচ্ছে উপরে যে লোকটি (খোদা) আছে। তিনিই সর্বশক্তিমান। আমার কিছু নেই। আমি যে কোনো সময় মরে যেতে পারি কিন্তু তিনি আমাকে ধরে রেখেছেন।”
জীবনের বেশিরভাগ সময় ব্লম শ্রমিক হিসেবে কাজ করেছেন। প্রথমে কৃষি শ্রমিক ছিলেন পরে নির্মাণ শিল্প শ্রমিক হিসেবে কাজ করেছেন। বয়স ৮০ পেরনোর পরই কেবল তিনি অবসরে গিয়েছিলেন।
পূর্বকোণ/পিআর