চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

প্রতীকী ছবি

এটিএম বুথে জালিয়াতি : আটক ৬ ইউক্রেন নাগরিক

অনলাইন ডেস্ক

২ জুন, ২০১৯ | ৪:১২ অপরাহ্ণ

ডাচ বাংলা ব্যাংকের বুথ থেকে কার্ড জালিয়াতি করে তিন লাখ টাকা তোলার অভিযোগে ছয় বিদেশি নাগরিককে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। আটকরা সবাই ইউক্রেনের নাগরিক। তারা পান্থপথের হোটেল ওলিও ড্রিম হ্যাভেন আবাসিক হোটেলে উঠেছিলেন।

আটক ব্যক্তিরা হলেন- ভ্যালেনটাইন (পাসপোর্ট নম্বর ইওয়াই ০৫১৫৬২), ওলেগ (পাসপোর্ট নম্বর ইএক্স ০৮৯৯৬৩), ডেনিস ( পাসপোর্ট নম্বর এফএল ০১৯৮৩৪) নাজেরি ( পাসপোর্ট নম্বর এফটি ৫০০৫০১), সার্গি (পাসপোর্ট নম্বর এফএইচ ৪২৪৩৯৪) ও ভোলোবিহাইন (পাসপোর্ট এফটি ৩৭৯৯৮৩)।
শনিবার রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের মিন্টো রোডের গোয়েন্দা কার্যালয়ে নেয়া হয়।

আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহিদুর রহমান রিপন জানান, আটক এই চক্রটির একাধিক সদস্য এখনও পলাতক রয়েছেন। আটক ব্যক্তিদের সহযোগীদের ধরতে তাদের নিয়ে অভিযান চালানো হচ্ছে।

ডিবি সূত্র জানায়, ইউক্রেন থেকে একসঙ্গে সাত জন এসেছিল। এদের মধ্যে ভিটালি (পাসপোর্ট নম্বর এফই ৮০৪৪৪৮) অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। তবে সে যেন দেশ ছেড়ে চলে যেতে না পারে সেজন্য দেশের সবকটি ইমিগ্রেশন পয়েন্টে তার বিষয়ে এলার্ট জারি করা হয়েছে।
পুলিশ ও ব্যাংক সূত্র জানায়, শুক্রবার রাজধানীর খিলগাঁও এলাকার ডাচ বাংলা ব্যাংকের একটি বুথ থেকে দুইজন বিদেশি নাগরিক তিন লাখ টাকা উত্তোলন করে নিয়ে যান। যাওয়ার সময় তারা কিছু টাকা বুথে ফেলে যান। বিষয়টি বুথের নিরাপত্তারক্ষী ব্যাংক কর্মকর্তাদের জানালে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ দেখেন। সেখানে দুই বিদেশি নাগরিকের টাকা উত্তোলনের দৃশ্য দেখা গেলেও ব্যাংকের সার্ভারে এই টাকা উত্তোলনের কোনো হিসাব জমা পড়েনি। বিষয়টি তাদের সন্দেহ হয়। গতকাল শনিবারও দুই বিদেশি নাগরিক একই বুথে টাকা উত্তোলন করতে যান। তাদের মুখে মাস্ক ও মাথায় ক্যাপ এবং বেশি সময় নেয়ার কারণে নিরাপত্তারক্ষী আশপাশের লোকজন ডেকে জড়ো করেন। বিষয়টি টের পেয়ে দুই বিদেশি নাগরিক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে একজনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে আটক ব্যক্তির দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে হোটেল ওলিও ড্রিম হ্যাভেনে অভিযান চালিয়ে আরও ছয় জনকে আটক করা হয়।

ডাচ বাংলা ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, তাদের বুথ থেকে জালিয়াত চক্রটি মোট চার লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তারা এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে যাতে ব্যাংকের সার্ভারে কোনও তথ্য যায়নি।

শেয়ার করুন