চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

‘হার্ড ইমিউনিটি অর্জনের বহু পথ বাকি’

‘হার্ড ইমিউনিটি অর্জনের বহু পথ বাকি’

পূর্বকোণ ডেস্ক

২৫ জুলাই, ২০২০ | ৯:৪০ অপরাহ্ণ

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন বলেছেন, করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে ব্যাপক জনগোষ্ঠীর মধ্যে স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা বা হার্ড ইমিউনিটি পেতে আরও অপেক্ষা করতে হবে। জেনেভার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আয়োজিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা এক অনুষ্ঠানে গতকাল শুক্রবার (২৪ জুলাই) এ কথা বলেন তিনি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী বলেন, ৫০-৬০ শতাংশ মানুষ ভাইরাস প্রতিরোধে সক্ষম হলে হার্ড ইমিউনিটির ধারণা সফল হবে। এতে কেবল সংক্রমণ প্রবাহের শৃঙ্খলে বাধা দেয়া সম্ভব হবে। টিকা চলে এলে এটা করা খুব সহজ হবে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, অনেক আক্রান্ত দেশে ৫-১০ শতাংশ রোগীর শরীরে এন্টিবডি তৈরি হয়েছে। অনেক জায়গায় এটির পরিমাণ ২০ শতাংশ পর্যন্ত দেখা গেছে।

সৌম্য স্বামীনাথন সতর্ক করেছেন, বিজ্ঞানীরা টিকা না আনা পর্যন্ত বিশ্বকে করোনা ঠেকানোর সম্ভাব্য সব উপায় নিয়ে কাজ করতে হবে। এ সময়টা এক বছর বা তার কাছাকাছি হতে পারে। এ পর্যন্ত বিভিন্ন থেরাপি মৃত্যুহার কমিয়ে রাখবে এবং মানুষ তাদের জীবনে ফেরত যাবে। মানুষের মৃত্যু বা অসুস্থতা ছাড়াই দ্রুতগতিতে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি করে ফেলা যাবে। এ কারণে হার্ড ইমিউনিটি টিকা দিয়েই তৈরি করা ভালো। প্রাকৃতিক সংক্রমণের মাধ্যমে হার্ড ইমিউনিটি সৃষ্টি হওয়ার চেয়ে টিকা দিয়ে করা ভালো হবে। তা না হলে সংক্রমণের একাধিক তরঙ্গ লাগবে এবং দুর্ভাগ্যজনকভাবে অনেকে মারা যাবে।

এই বিজ্ঞানী বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখনো সংক্রমণের তরঙ্গ চলছে। সেখানকার মানুষের শরীরেও এন্টিবডি তৈরি হবে এবং কিছু সময়ের জন্য মানুষ প্রতিরোধী হয়ে উঠবে বলে আশা করা যাবে। তারা ভাইরাস ছড়ানোর ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে সংক্রমণ রুখে দেবে। তবে টিকা আসা পর্যন্ত জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে সঠিক পদক্ষেপ নিয়ে এগোতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন টিকা নিয়ে পরীক্ষা চলছে। যদি ক্লিনিক্যাল পরীক্ষাগুলো সফল হয়, তবে একাধিক টিকা এ বছরের শেষ নাগাদ হাতে থাকবে। তবে আমাদের কয়েকশ’ কোটি ডোজ টিকা প্রয়োজন পড়বে, যার জন্য সময় লাগবে। এখন পর্যন্ত বিশ্বে ২০০ টিকার বেশি প্রকল্প অভাবনীয় গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।’

 

 

 

 

 

পূর্বকোণ/আরপি

শেয়ার করুন