চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

জমকালো শপথে ভারতে শুরু হলো দ্বিতীয় ‘মোদি যুগ’

৩১ মে, ২০১৯ | ৩:০৯ পূর্বাহ্ণ

ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ গ্রহণ করেছেন নরেন্দ্র মোদি। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় তিনি শপথ নেন। তাকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। মোদির সঙ্গে শপথ নিলেন ৫৫ জন মন্ত্রী। নতুন মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠান ঘিরে রাষ্ট্রপতি ভবনে করা হয় এলাহি আয়োজন। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বিপুল সংখ্যক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির পত্নী রাশিদা খানম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ছিলেন। শিল্পপতি ও বিশিষ্টজনেরা মিলিয়ে অতিথির সংখ্যা প্রায় আট হাজার। তারা সবাই যথাসময়ে সেখানে পৌঁছান। অতিথিদের সঙ্গে উপস্থিত হন সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীও।-বিডিনিউজ
২০১৪ সালের আগ পর্যন্ত শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হত রাষ্ট্রপতি ভবনের দরবার হলে। কিন্তু আগেরবার মোদীর শপথের সময় রীতি ভেঙে রাষ্ট্রপতি ভবনের বাইরের লনে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান করা হয়। এবারও সেখানেই শপথ অনুষ্ঠান হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা। এবার পশ্চিমবঙ্গ থেকে মন্ত্রিসভায় অন্তত তিনজনের আসন নিশ্চিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতি ভবনে বাংলায় শপথ নিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রীরা। বিজেপি শীর্ষপর্যায় থেকেই এ নির্দেশ ছিল। ফলে শপথগ্রহণে রয়েছে বাংলার ছাপ।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ভারতীয় লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের (এনডিএ) ব্যাপক বিজয় অর্জনের পর কোবিন্দ নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করেন। মোদি গতকাল শপথের মাধ্যমে দ্বিতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করলেন।
ভারতের এবং বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভুটান, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলংকা ও থাইল্যান্ডকে নিয়ে গঠিত বে আব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টোরাল টেকনিক্যাল এন্ড ইকোনোমিক কো-অপারেশন (বিমসটেক)-এর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অতিথিরা শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন। অতিথিদের মধ্যে ছিলেন বেশ কয়েকটি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানগণ, ভারতের প্রায় সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং বিনোদন জগতের কয়েকজন প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব। এছাড়া গত এক বছরে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত বিজেপি কর্মীদের পরিবারের সদস্যরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন- শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা সিরিসেনা, মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উ. উইন মিয়িন্ত, মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবিন্দ জঘুনাথ, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোতে শেরিং ও কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট সুরোনবে জীনবেকভ। এছাড়া বিমসটেকের নেতৃত্বস্থানীয় সদস্য থাইল্যান্ডের কৃষিমন্ত্রী গ্রিসাদা বুনরাচ দেশটির প্রতিনিধিত্ব করেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট