চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

দিল্লির মসনদ কার জানা যাবে আজ

২৩ মে, ২০১৯ | ২:৫৪ পূর্বাহ্ণ

সাত দফায় ভোটগ্রহণের পর আজ বৃহস্পতিবার জানা যাবে ভারতের জাতীয় সংসদ (লোকসভা) নির্বাচনের ফলাফল। অবশ্য ১৯ মে সপ্তম ও শেষ দফায় ভোটগ্রহণের পরপরই বুথফেরত জরিপের (এক্সিট পোল) ফলাফল প্রকাশ করেছে একাধিক সংস্থা। তাতে নরেন্দ্র মোদীর বিজেপিরই পুনরায় সরকার গঠনের ইঙ্গিত মিলেছে। জরিপ যেদিকেই কথা বলুক, ফলাফল ঘোষণার আগে ব্যাপকভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বেটিং বা বাজির চক্র। বিশেষ করে কলকাতার বড়বাজারের যে জুয়াড়িরা ক’দিন আগেও আইপিএল নিয়ে বাজিতে মত্ত ছিল, তারা এখন ‘দান খেলছে’ মোদী-রাহুল-মমতাদের সম্ভাব্য আসন পাওয়া নিয়ে।-বাংলানিউজ
ক’দিন আগেও বাজিকরদের এ চক্র মত্ত ছিল আইপিএল নিয়ে। নির্বাচনের ফল ঘোষণার তারিখ ঘনিয়ে আসতেই ওই চক্রের মনোযোগ চলে এসেছে এইদিকে। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, নরেন্দ্র মোদীই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন কি-না, তা নিয়ে যেমন বাজি ধরা হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি বাজি ধরা হচ্ছে মোদীর দল বিজেপি আসলে ঠিক কতোটা আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসবে, তা নিয়ে।
পাশাপাশি বাজিকরদের বাজিতে আছে পশ্চিমবঙ্গের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন ফেডারেল ফ্রন্ট ক্ষমতায় আসবে কি-না। যদিও মমতার হয়ে বাজি ধরায় ‘ঝুঁকি’ বেশি দেখছে জুয়াড়িরা। তবে মমতার ‘দুর্গ’ পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ক’টা আসন বাগিয়ে নেবে, সেটাও আছে জুয়াড়িদের বাজিতে।
সরকার গঠনের জন্য কোনো দলের অন্তত ২৭২টি আসন পেতে হয়। কয়েকটি বুথফেরত জরিপ মতে, লোকসভার ৫৪৩ আসনের মধ্যে বিজেপি এককভাবে ৩০০ বা তারও বেশি আসন পাচ্ছে। মোদীর দল ৩০০ আসনের কম পাবে, এমন আভাসও দিয়েছে একাধিক সংস্থা।
বাজির ধরন নিয়ে একটি সূত্র বলছে, কেউ যদি মনে করে ৩০০-এর নিচে আসন মিলবে বিজেপির এবং তা যদি সত্য হয়, তাহলে যত রুপি বাজি ধরবে সে, তার দ্বিগুণ অর্থ মিলবে। না মিললে পুরো অর্থই খোয়াতে হবে। ঠিক একইভাবে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ১৩-১৫টি আসন পাবে বা পাবে না, এমন ধারণার ওপর বাজি ধরা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাজিকরের কথায়, তারা পয়সা বলে খেললেও এটা রুপির অংকে অনেক বড়। যেমন ১ পয়সা বললে অনেক সময় এক হাজার রুপি, ১০ পয়সা বললে ১০ হাজার রুপি বোঝানো হয়ে থাকে।
ওই বাজিকরের ভাষ্যে, বড়বাজারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেডারেল ফ্রন্ট নিয়ে বড় ঝুঁকি নিচ্ছে জুয়াড়িরা। ১০ পয়সার বাজিতে ফ্রন্ট দিল্লি দখল করলে মিলবে ২৪ পয়সা।
তাই বলাই যাচ্ছে, আজ ফলাফলে যেমন মোদী-রাহুল-মমতাদের ভাগ্য জানা যাবে, তেমনি অনেক জুয়াড়ির মুখে চওড়া হাসি আসতে পারে, আবার অনেকেরই কপাল পুড়তে পারে।
তবে এই ‘জুয়ার ঠেক’ ভাঙতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও কলকাতাজুড়ে তাদের তৎপরতা বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট