চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

খালি হাতে লিবিয়া থেকে ফিরেছেন ১৪৮ বাংলাদেশি

অনলাইন ডেস্ক

২৯ জানুয়ারি, ২০২০ | ৬:৪৬ অপরাহ্ণ

যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করায় লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন ১৪৮ বাংলাদেশি। জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা আইওএমের ভলান্টারি হিউম্যানাটেরিয়ান রিটার্ন (ভিএইচআর) কর্মসূচির মাধ্যমে নিরাপদে দেশে ফিরেছেন তারা। আইওএমের ভাড়া করা বিমানে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) লিবিয়ার মিসারত বিমানবন্দর থেকে রওনা দিয়ে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তারা। ফিরে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন যুদ্ধাহত, সমুদ্র পথে ইউরোপ যেতে ব্যর্থ এমনকি লিবিয়ার জেলে বন্দি থাকা বাংলাদেশিরা।

ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুরের মো. আকবর চার বছর আগে লিবিয়ায় গিয়েছিলেন পারিবারের ভাগ্য বদলাতে। তিনি বলেন, গ্রামের দালালের মাধ্যমে লিবিয়ায় গিয়েছিলেন, তবে বেতন ছিল খুবই কম। কোনো মতে সেখানে নিজে চলতে পারলেও পরিবারের জন্য কিছুই পাঠাতে পারতেন না। যে কারখানায় কাজ করতেন হঠাৎ সেখানে একদিন বিমান হামলা হয়। চার বাংলাদেশিসহ ১৩ জন মারা যান। আকবর বলেন, ‘সে এক ভায়াবহ অভিজ্ঞতা। অল্পের জন্য সেদিন বেঁচে গিয়েছি। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম দেশে ফিরে আসব।’ পরে লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে আইওএমের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্বেচ্ছায় দেশে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করেন আকবর। তিনিও ১৪৮ জনের সঙ্গে দেশে ফিরেছেন।

আইওএমের ঢাকা কার্যালয় জানায়, ফিরে আসা ব্যক্তিরা আইওএমের মাধ্যমে সামাজিক সেবা, তৎক্ষণিক সেবা, ফিরে আসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করা, স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং বাংলাদেশ সরকারের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযেগে করতে সহায়তা পেয়েছে।এছাড়া ঢাকায় পৌঁছানোর পর আইওএম বাড়ি ফিরতে প্রত্যেককে চার হাজার ৭৩০ টাকা, খাবার, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও মানসিক সেবা দিয়েছে। ভবিষ্যতে ফিরে আসা এসব ব্যক্তিদের অর্থনৈতিক সহযোগিতাও করবে আইওএম। যাতে তারা দেশেই আয় করে জীবন চালাতে পারে। আইওএম বাংলাদেশের চিফ অব মিশন গিওর্গি গিগাওরি বলেন, লিবিয়ার প্রতিকূল অবস্থা অব্যাহত থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বাংলাদেশিদের সুরক্ষা ও সহায়তা দিতে সর্বদা আমরা তৎপর। যারা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে তাদের তাৎক্ষণিক সব ধরনের সহযোগিতা নিশ্চিতের চেষ্টা করছি আমরা। একইসঙ্গে ফিরে আসা ব্যক্তিদের দীর্ঘমেয়াদে সহযোগিতাও করব আমরা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে বাংলদেশ সরকার ও লিবিয়া কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় ২০১৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৪শ জনেরও বেশি বাংলাদেশিকে দেশে ফিরতে সহযোগিতা করছে আইওএম। বিশ্বব্যাপী ভিএইচআর প্রোগ্রামের সহযোগিতায় ঝুঁকিপূর্ণ অভিবাসীদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ও সহায়তা দিয়ে থাকে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

পূর্বকোণ/এম

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট