চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

করোনাভাইরাসে চীনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৫ জানুয়ারি, ২০২০ | ১:১৪ অপরাহ্ণ

করোনাভাইরাসে চীনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪১ জনে দাঁড়িয়েছে। এরই মধ্যে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করেছে। মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই হুবেই প্রদেশের বাসিন্দা। এই ভাইরাসে দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ২৮৭ জনে দাঁড়িয়েছে। খবর বিবিসির

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এই ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল হুবেইপ্রদেশে ভ্রমণে কঠোর নিরাপত্তা জারি করা হয়েছে। এছাড়া ১০টি শহরে গণপরিবহন ও সংশ্লিষ্ট এলাকার পর্যটন গন্তব্য ‘নিষিদ্ধ শহর’ ও গ্রেট ওয়ালের একটি অংশও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে নতুন চান্দ্র বর্ষের ছুটি। চীনা নববর্ষের সপ্তাহব্যাপী ছুটির মধ্যে দেশটির কোটি কোটি মানুষ একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে যাতায়াত করলে ভাইরাসটি ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছিল।

পরিস্থিতির অবনতির কারণে সাংহাই ডিজনিল্যান্ড থিম পার্কও শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ। বেইজিংয়ে সব বড় উৎসব ও মন্দিরের মধ্যে মেলা নিষিদ্ধ ও চলচ্চিত্র মুক্তি স্থগিত করা হয়েছে। 

সরকারের নির্দেশানুয়ায়ী, বাইরের কেউ ভেতরে ঢুকতে পারবে না, শহরের ভেতরে থাকা কেউ বের হতে পারবে না।

এ ছাড়া কিছু শহরে সিনেমা হল, রেস্তোরাঁ, কারাওকে বারের মতো বিনোদন স্থানগুলোও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। খবর দ্য টেলিগ্রাফ।

চীনের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, ভাইরাসটির ব্যাপক প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সরকারের পক্ষ থেকে তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, চীনের মধ্যাঞ্চলীয় শহর উহানের একটি পশু বাজারে অবৈধভাবে চলা বন্যপ্রাণী ব্যবসা থেকে গত বছরের শেষ দিকে প্রাণঘাতী এ করোনাভাইরাসটির সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। 

১৯৬০ সালে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এটি মূলত ভাইরাসের বড় একটি গোত্র। বর্তমানে করোনাভাইরাসের যে প্রজাতির সংক্রমণ ঘটেছে, তা এর আগে দেখা যায়নি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই ভাইরাসের সংক্রমণে সাধারণ সর্দি-ঠান্ডা থেকে শুরু করে সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (সার্স) পর্যন্ত হতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাইরাসটি মানুষ এবং পশু-উভয়ে ছড়াতে পারে। কোনো রকম স্পর্শ ছাড়াই মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হয় ভাইরাসটি। 

ফ্রান্সের প্যারিসের ইনস্টিটিউট প্যাস্তয়োয়ের রোগতত্ত্ব বিভাগের প্রধান আর্নদ ফন্তানেত বলেন, সার্স ভাইরাসের সঙ্গে বর্তমান ভাইরাসটির চরিত্রের ৮০ শতাংশ মিল রয়েছে। তবে সার্সের মতো আগ্রাসী নয় এই ভাইরাস।

এই ভাইরাসের এখনও পর্যন্ত কোন প্রতিষেধক বের হয়নি। তাই সংক্রমণ ঠেকাতে প্রতিরোধই একমাত্র উপায় বলে মনে করছেন দেশটির বিশেষজ্ঞরা।

 

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন