চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

দেড় বিলিয়ন ডলারের ই-কমার্সের বাজার

আবদুল মুহিদ

২৩ জানুয়ারি, ২০২০ | ৩:৫১ পূর্বাহ্ণ

কী-পয়েন্টস : বিশ্বে ৪৬তম অবস্থানে বাংলাদেশ ♦ ২০২০ সালে বাজার ২ বিলিয়ন ছাড়াবে, ২০২৩ হবে ৩ বিলিয়ন ডলার ♦ প্রায় ৫০ হাজার ফেসবুক পেজে চলছে ব্যবসা, সক্রিয় ২০ হাজার উদ্যোক্তা ♦ বড় শহরে আটকে আছেন উদ্যোক্তারা, গ্রামে ডেলিভারি চালু হয়নি ♦ ক্যাশ অন ডেলিভারিতে ৯০ শতাংশ পণ্য বিক্রি ♦ বিদেশি পণ্য অর্ডারের নামে প্রতারণা।

দেশে অনলাইনে কেনাকাটা বাড়ছে। প্রায় ৫০ হাজার উদ্যোক্তা ফেসবুকে পেইজ খুলে ব্যবসা করছেন। সক্রিয় ২০ হাজারের বেশি। এরপরও লাখো মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে অনলাইন ভিত্তিক ই-কমার্স ব্যবসায়। দ্রুতগতিতে হচ্ছে ব্যবসা সম্প্রসারণ। ফলে বাংলাদেশে ই-কমার্সের বাজার দেড় বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। যা চলতি বছর দুই বিলিয়ন ও ২০২৩ সালে তিন বিলিয়ন ডলার ছাড়ানোর তথ্য দিয়েছে জার্মান ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান।

ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ই-ক্যাবের

তথ্যমতে- ক্রেতারা মূলত শহরকেন্দ্রিক। ই-কমার্সের ৮০ শতাংশ ক্রেতা ঢাকা, গাজীপুর ও চট্টগ্রামের। এদের মধ্যে ৩৫ শতাংশ ঢাকার, ৩৯ শতাংশ চট্টগ্রামের এবং ১৫ শতাংশ গাজীপুরের। অন্য দুটি শহর হলো- নারায়ণগঞ্জ ও সিলেট। ৭৫ শতাংশ ই-কমার্স ব্যবহারকারীর বয়স ১৮-৩৪-এর মধ্যে। দেশে ই-কমার্স খাতের বিকাশের চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে
রয়েছে- ই-কমার্স সহায়ক উপযুক্ত জাতীয় নীতিমালার অভাব, ই-কমার্স উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ, আর্থিক লেনদেনের নিরাপত্তা, ধীরগতিসম্পন্ন ও ব্যয়বহুল ইন্টারনেট, পণ্য পৌঁছানোর ব্যবস্থা উন্নয়ন, ইন্টার-অপারেবল অবকাঠামো, দক্ষ ই-কমার্স প্রযুক্তি সহায়ক প্রশাসন ও মানবসম্পদের অভাব। আরও চ্যালেঞ্জ হলো- আস্থাশীল ই-কমার্স পরিবেশের অভাব, অনলাইনে কেনাকাটায় জনসাধারণের অভ্যস্ততার অভাব ও ভীতি। ভোক্তা অসন্তোষ নিরসনের সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার অভাব। এ ছাড়া ই-কমার্স খাতে ব্যাংকিং সুবিধা দিতে অনীহা ও কোনো প্রণোদনা প্যাকেজ না থাকা এবং পর্যাপ্ত প্রচারণার অভাব ইত্যাদি। এমন প্রেক্ষাপটেও ই-কমার্সের বিশ্বে বাংলাদেশ ৪৬তম অবস্থানে থাকার তথ্য দিয়েছে জার্মান গবেষণা সংস্থা।

এ প্রসঙ্গে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- ই-ক্যাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রাজীব আহমেদ মিডিয়াকে বলেন-
ই-কমার্সের বাজার বিলিয়ন ডলার ছাড়ানোর মধ্যদিয়ে এর ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল। তবে চ্যালেঞ্জ হলো- গ্রামে গ্রামে পণ্য পৌঁছানোর ব্যবস্থা চালু হয়নি। কেবলমাত্র ঢাকা ও বিভাগীয় শহরগুলোতে আটকে গেছে ই-কমার্স। প্রায় ৫০ হাজার উদ্যোক্তা ফেসবুক পেইজে ব্যবসা করছেন। তাদের মধ্যে ২০ হাজারের বেশি উদ্যোক্তা সক্রিয়। এই খাতে ৯০ শতাংশ পণ্য ক্যাশ অন ডেলিভারি বা নগদে হওয়ায় টাকা মেরে দেওয়ার ঘটনা খুবই কম। তবে বিদেশি পণ্য এনে দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রি-অর্ডারের নামে কিছু প্রতারণা হচ্ছে। এক্ষেত্রে ক্রেতাদের সতর্কতাও জরুরি। স্ট্যাটিস্টার সর্বশেষ তথ্যমতে- ২০১৯ সালে বাংলাদেশের ই-কমার্সের বাজার দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা চলতি বছর বেড়ে ২ হাজার ৭৭ মিলিয়ন ডলার হবে। আর আগামী ২০২৩ সালে বাজারের আকার হবে ৩ হাজার ৭৭ মিলিয়ন ডলার। (আগামী সংখ্যায় সমাপ্য)

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট