চট্টগ্রাম বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪

ফেসবুক-মেসেঞ্জার হ্যাক হওয়া ঠেকাবেন যেভাবে

আবদুল মুহিদ

৩১ অক্টোবর, ২০১৯ | ২:০৫ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় ভোলার বোরহানউদ্দিন থানার ঘটনার পর বেশি বেশি করে প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখা যায়।

(গত সংখ্যার পর)

টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন : ফেসবুক, ইমেইল বা গুগল অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড নির্ধারণ করার জন্য এতদিন বলা হত যত শক্তিশালী বা জটিল বর্ণ, ডিজিট দিয়ে করা যায় ততই নিরাপদ। কিন্তু সে ধারণা এখন পাল্টে গেছে। সাইবার বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবির বলছেন, এখন অনেক সফটওয়্যার রয়েছে যেটা দিয়ে পাসওয়ার্ড ভেঙ্গে ফেলা সম্ভব। সেজন্য দুই ধাপে পাসওয়ার্ড ভেরিফাই করা যায় এমন ব্যবস্থার মধ্যে আসতে হবে। তিনি বলছিলেন, “যেমন আপনি যদি টু ফ্যাক্টর ফিচার ব্যবহার করেন সেটা নিরাপদ করবে আপনার অ্যাকাউন্টকে”। তিনি বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলছিলেন, আপনার অ্যাকাউন্টে যদি অন্য ডিভাইস থেকে কেউ লগইন করার চেষ্টা করে তাহলে আপনার মোবাইলে বা ইমেইলে একটা কোড নোটিফিকেশন আসবে। তখন আপনি জানতে পারবেন আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। “আবার আপনি নিজে যদি অন্য ডিভাইস থেকে লগইন করার চেষ্টা করেন, তাহলে আপনি নিজেই চেক করে অনুমোদন দিয়ে অ্যাকাউন্টটি চালু করতে পারেন”।

অপরিচিত ইমেইল, লিংক এড়িয়ে চলা : যদি আপনার ফেসবুকে কোন লিংক আসে, সেটা মেসেঞ্জারের মাধ্যমেও হতে পারে, সেটা এড়িয়ে চলুন। সাবির বলছিলেন, আমাদের কৌতুহল একটু কমাতে হবে। যেকোন লিংক বা ইমেইলে অ্যাটাচমেন্ট থাকলে সেটা ক্লিক করার আগে বা খোলার আগে সচেতন করতে হবে। যেমন আপনার পরিচিত একজন বন্ধু আপনার কাছে একটা লিংক পাঠালো যেটা তার স্বভাববিরুদ্ধ হতে পারে। তখন আপনি সেটা তার সাথে কথা না বলে ক্লিক করবেন না। হতে পারে আপনার ঐ বন্ধুর অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হয়েছে এবং অন্য কেউ সেই লিংকটি পাঠিয়েছে।

এসব লিংক বা ফাইল খোলার ফল : এসব লিংক বা ইমেইলে থাকা অ্যাটাচমেন্টে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ম্যালওয়ার থাকতে পারে যেটা আপনার ডিভাইসে ঢুকে আপনার ডিভাইসের তথ্য চুরি করতে পারে। তবে আপনি যদি কোন ইমেইল খুলে কী লেখা আছে সেটা পড়তে থাকেন অ্যাটাচমেন্ট ক্লিক না করে সেক্ষেত্রে এই ম্যালওয়ারটি আপনার ল্যাপটপ, কম্পিউটার বা মোবাইলে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।

সফটওয়্যার ও অ্যাপ ব্যবহারে সাবধানতা : যেকোন ধরণের সফটওয়্যার যে কোন ডিভাইসে ইন্সটল করার ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে সতর্ক থাকতে হবে। এক্ষেত্রে পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। সফটওয়্যার এবং অ্যাপগুলো নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে ব্যবহার করতে হবে। যেকোন স্থান থেকে যদি আপনি সফটওয়্যার এবং অ্যাপ ডাউনলোড করেন তাহলে আপনি নিজেকে বিপদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেবেন নিজেকে।

সেটিংস পরিবর্তন করা : আপনি যেসব ডিভাইস ব্যবহার করেন সেসব ডিভাইস এর সেটিংস অপশনে গিয়ে বেশ কিছু বিষয় নিরাপত্তার জন্য পরিবর্তন করা। যেমন লগইন অ্যালার্ট চালু করুন। লগইন অ্যাপ্রুভাল চালু করুন। আপনাকে যাতে কোন ছবি বা পোষ্টে কেউ আপনার অনুমতি না নিয়ে ট্যাগ না করতে পারে সেই অপশনটা চালু করুন। এতে করে অন্যের কাজের দায়ভার আপনার নিতে হবে না। আর আপনি নাও চাইতে পারেন কোন পোষ্ট বা ছবি আপনাকে ট্যাগ না করুক ফেসবুকে। আপনি যখন অ্যাপ্রুভ করবেন তখনি কেবল সেটা আপনার টাইমলাইনে আসবে।
(শেষ) (সূত্র: বিবিসি বাংলা)

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট