চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ফেসবুক নিরাপদ রাখতে যা করবেন

অনলাইন ডেস্ক

২৩ অক্টোবর, ২০১৯ | ৬:০৩ অপরাহ্ণ

আপনার ফেসবুক একাউন্ট কি কখনো  হ্যাকিংয়ের চেষ্টা হয়েছে? অথবা এমন হয়েছে কি অপরিচিত কোনো এলাকা বা ডিভাইস থেকে লগইন হয়েছে? কিংবা আপনার অজান্তেই ফেসবুক থেকে কারো কাছে বার্তা চলে যাচ্ছে? বেশিরভাগ সময় ব্যবহারকারীর অসতর্কতায় হ্যাক হয় ফেসবুক একাউন্ট। অনাকাঙ্ক্ষিত খোয়া যায় ব্যক্তিগত তথ্য এবং পড়তে হয় ঝামেলায়। একটু সতর্ক হলেই ফেসবুক ব্যবহারের ক্ষেত্রে এড়ানো যায় এসব ঝামেলা। ফেসবুকে নিরাপদ থাকতে যে নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে, তা নিয়ে আজকের আয়োজন—

 

টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন

কিছু তথ্য ফেসবুকে একাউন্ট খোলার সময় দিতে হয়। এসব তথ্যের মধ্যে রয়েছে ই-মেইল, ফোন নম্বর কিংবা পাসওয়ার্ড ইত্যাদি। আবার লগইন করার জন্য দরকার হয় ই-মেইল ও পাসওয়ার্ডের। এসবের কোনো একটা ভুলে গেলে ফেসবুকে লগইন করা সম্ভব হয় না। প্রযুক্তি এখন অনেক উন্নত হয়েছে। বেড়েছে সাইবার হ্যাকারদের দৌরাত্ম্য। তাই অনেকে না জেনেই পড়ছেন হ্যাকারদের কবলে।  অনেকের ই-মেইল ও পাসওয়ার্ড কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছে হ্যাকাররা। অন্যের একাউন্টে তারা অনুমতি ছাড়াই ঢুকে পড়ছে। এক্ষেত্রে হ্যাকারদের দরকার হচ্ছে শুধু ই-মেইল ও পাসওয়ার্ড। ফেসবুক ব্যবহারকারী চাইলে নিরাপদ থাকতে পারেন হ্যাকারদের হাত থেকে। নিরাপদ রাখতে পারেন নিজের ফেসবুক একাউন্ট। এজন্য  চালু করতে হবে টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন। ফিচারটি চালু রাখলে প্রতিবার ফেসবুকে লগইন করার জন্য দরকার হবে তিনটি জিনিস। এগুলো হলো ই-মেইল, একাউন্টের পাসওয়ার্ড এবং লগইনের সময় মোবাইলে আসা সাময়িক পিন কোড। হ্যাকাররা হাতিয়ে নেয়া ই-মেইল ও পাসওয়ার্ড দিয়ে ফেসবুকে লগইন করতে গেলে তাত্ক্ষণিক আপনার মোবাইলে যাবে একটি পিন কোড। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ওই পিন কোড সরবরাহ করতে ব্যর্থ হলে একাউন্টে লগইন হবে না।

যেভাবে চালু করবেন টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন

টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন লগইন এপ্রুভাল চালু করতে প্রথমে  সাইনইন করুন ফেসবুকে। এরপর ফেসবুক  Settings>Security and Login সেকশনে থাকা Two-Factor Authentication-এর Edit অপশনে ক্লিক করে পরবর্তী ধাপগুলো অনুসরণ করুন। অথবা সরাসরি নিচের লিংক https://www.facebook.com/settings?tab=security ভিজিট করলেও  পাবেন অপশনটি।

সফলভাবে টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন ফিচার চালু হলে এরপর থেকে নতুন কোনো ব্রাউজারে লগইন করতে গেলে মোবাইলে পাঠানো নিরাপত্তা পিন কোড চাইবে এবং সেটি প্রবেশ করানোর পর ‘সেভ’ অপশন দেখাবে ওই ব্রাউজারে। আপনার নিজের পার্সোনাল কম্পিউটার (পিসি) বা মোবাইল হলে সেভ করে নিতে পারেন ব্রাউজার ফেসবুক সার্ভারে। এতে দিতে হবে না প্রতিবার লগইন করার সময় মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে পাঠানো পিন কোড। শুধু ইউজারনেম বা ই-মেইল ও পাসওয়ার্ড দিয়েই করা যাবে লগইন।

এড়িয়ে চলুন মেসেঞ্জারে পাঠানো অপরিচিত ব্যক্তির লিংক

অপরিচিত অনেকেই ফেসবুকে বিভিন্ন লিংক পাঠায়। ভুলেও ক্লিক করবেন না এসব লিংকে। এগুলো হতে পারে হ্যাকিং টুলসংবলিত লিংক। এমন হলে পড়তে পারেন খুব বড় ধরনের বিপদে। তাই সবসময় ফেসবুকে এড়িয়ে চলুন অপরিচিত ব্যক্তির পাঠানো লিংক।

চালু রাখুন লগইন নোটিফিকেশন অপশন

ফেসবুকে লগইন নোটিফিকেশন অপশন চালু রাখলে বাড়তি সুবিধা পাবেন। এতে কেউ আপনার ফেসবুক একাউন্টে লগইন করার চেষ্টা করলে নোটিফিকেশন চলে যাবে আপনার ই-মেইল ও মোবাইল নম্বরে। অননুমোদিত লগইনের নোটিফিকেশন পেলে তত্ক্ষণাৎ পরিবর্তন করে ফেলতে হবে ফেসবুকের পাসওয়ার্ড। একই সঙ্গে Sign Out from other devices করে দেবেন। এর ফলে হ্যাকার আপনার একাউন্ট থেকে লগ আউট হয়ে যাবে এবং  নিরাপদ থাকবে আপনার ফেসবুক একাউন্ট।

ট্রাস্টেট কন্টাক্ট যোগ করুন

ফেসবুক একাউন্ট নিরাপদ রাখার আরো একটি উপায় হলো ট্রাস্টেট কন্টাক্ট। ট্রাস্টেট কন্টাক্ট ফেসবুক একাউন্টে যোগ করে রাখলে হ্যাকিংয়ের শিকার হলেও যেকোনো সময় উদ্ধার করা যায় একাউন্ট। এক্ষেত্রে আপনি যখনই ফেসবুকে লগইন করতে পারবেন না, তখনই সহায়তা নিতে পারবেন ট্রাস্টেড কন্টাক্টের। আলাদা আলাদা পিন কোড যাবে ট্রাস্টেড কন্টাক্টে যোগ করা বন্ধুদের কাছে। তাদের থেকে পিন কোড নিয়ে সাবমিট দিলেই আপনি সেট করে নিতে পারবেন নতুন পাসওয়ার্ড ।

সাবধান থাকুন বিজ্ঞাপন থেকে

ফেসবুক হয়ে উঠেছে বিভিন্ন পণ্যের প্রচার-প্রচারণার অন্যতম ডিজিটাল প্লাটফর্ম। ফেসবুকে হ্যাকাররা ভুয়া পণ্যের চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন দিয়ে ব্যবহারকারীদের ক্ষতিকর ওয়েবসাইটে রিডিরেক্ট করতে পারে। এতে বেহাত হতে পারে আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। কাজেই ফেসবুকে বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন না হলে এড়িয়ে চলুন ভুয়া বিজ্ঞাপন।

পূর্বকোণ/রাশেদ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট