চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

ইন্টারনেটের গ্রাহক এক মাসে বেড়েছে ২০ লাখ!

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ৭:১২ অপরাহ্ণ

দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৯ কোটি ৬১ লাখ ৭৬ হাজার। চলতি বছরের জুলাই মাসের শেষে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়। তার ঠিক এক মাস পরেই (গত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত) এ সংখ্যা ৯ কোটি ৮১ লাখ ৩৬ হাজারে গিয়ে দাঁড়ায়। এক মাসের ব্যবধানে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বেড়েছে প্রায় ২০ লাখ ৪০ হাজার। শুধু ইন্টারনেট ব্যবহারকারীই নয়, দেশে  ব্যান্ডউইথের ব্যবহারও। বর্তমানে দেশে ব্যবহার হচ্ছে এক হাজার ৪০০ জিবিপিএস (গিগাবিটস পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইথ। ব্যান্ডউইথের ব্যবহার বাড়ার পাশাপাশি বাড়ছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যাও।

তবে এক মাসে ২০ লাখ গ্রাহক বাড়ার কারণ সম্পর্কে  ঠিক বুঝে উঠতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সংশ্লিষ্টরা আরো বলছেন, গত এক মাসে বা কিছু সময় আগে ব্রডব্যান্ড গ্রাহকের সংখ্যা সেভাবে বাড়েনি। গ্রোথ একই রয়েছে, যা গ্রাহক বেড়েছে তার সবই মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। প্রতিবেদন ও সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য অনুসারে মোবাইল ইন্টারনেটের ব্যবহারকারীই বেড়েছে ২০ লাখ।

যদিও এ সময়ে দেশের দুটি মোবাইল ফোন অপারেটরের ওপরে বকেয়া অর্থ আদায়ের ক্ষেত্রে এক প্রকার নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে বিটিআরসি। বন্ধ রাখা হয়েছে দুটি অপারেটরেরই এনওসি। ফলে বেশ কিছুদিন ধরে অপারেটর দুটি তাদের নতুন প্যাকেজ (ভয়েস কল ও ইন্টারনেট) ছাড়তে পারছে না। অপারেটর দুটি পুরনো প্যাকেজ দিয়েই অপারেশন চালাচ্ছে। ফলে এই সময়ে মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহক তথা ব্যবহারকারী বাড়ার কারণে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা যায়, দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল সি-মি-ইউ-৪ এর মাধ্যমে দেশে আসছে ৪০০ জিবিপিএস  ব্যান্ডউইথ। অন্যদিকে সেকেন্ড সাবমেরিন ক্যাবল সি-মি-ইউ-৫ এর মাধ্যমে আছে ৭০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ। অবশিষ্ট ৩০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ আসছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে আইটিসির (ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল ক্যাবল) মাধ্যমে।

প্রসঙ্গত, দেশের ৬টি আইটিসি হলো— ফাইবার এট হোম, ওয়ান এশিয়া, সামিট কমিউনিকেশন লিমিটেড, নভোকম লিমিটেড, বিডি লিংক কমিউনিকেশন লিমিটেড ও ম্যাংগো টেলিসার্ভিসেস লিমিটেড।

দেশের ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক বলেন, ‘বিটিআরসি যখন বলেছে তখন ঠিক আছে। ওটা মোবাইল ইন্টারনেট হবে হয়তো। কারণ, আমাদের ইন্টারনেটের (ব্রডব্যান্ড) কোনও গ্রোথ হয়নি।  আগের মতোই গ্রোথ বলা যায়।’ তিনি বলেন, ‘আইএসপির মাধ্যমে বর্তমানে  ৯০০ জিবিপিএস’র মতো ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করছেন গ্রাহকরা। আর ৫০০ জিবিপিএস ব্যবহার করছে মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহকরা।’

 

পূর্বকোণ/রাশেদ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট