চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

গুগল-ফেসবুককে ৯ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে মোবাইল অপারেটরগুলো!

নিজস্ব প্রতিবেদক

২২ আগস্ট, ২০১৯ | ১০:২৮ অপরাহ্ণ

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও গুগলকে ৮ হাজার ৭৪৪ কোটি ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছে মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন, বাংলালিংক ও রবি। হাইকোর্টে দাখিল করা এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এ তথ্য জানায়। গত ৫ বছরে এ টাকা দেয়া হয় বলেও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। আজ বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। আদালতে বিটিআরসি’র পক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করেন আইনজীবী এ কে এম আলমগীর পারভেজ। রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। শুনানিকালে বিটিআরসি’র সিস্টেমস এন্ড সার্ভিসেস বিভাগের উপ-পরিচালক প্রকৌশলী মো. নাহিদুল হাসান স্বাক্ষরিত ওই প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

একই বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আরেকটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে। কিন্তু এনবিআরের প্রতিবেদনে সন্তুষ্ট হননি হাইকোর্ট। তাই এনবিআরকে পুনরায় প্রতিবেদন দাখিলে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ইন্টারনেটভিত্তিক সব ধরনের প্রতিষ্ঠান থেকে রাজস্ব আদায়ে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, এনবিআরকে তাও জানাতে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন।

২০১৮ সালের ১৮ এপ্রিল সার্চ ইঞ্জিন গুগল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ ইন্টারনেটভিত্তিক সব ধরনের প্রতিষ্ঠানের রাজস্ব ফাঁকির তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। বিশেষজ্ঞ তদন্ত কমিটি গঠন করে অর্থসচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, এনবিআর চেয়ারম্যান, আইনসচিব, তথ্য ও প্রযুক্তি সচিব, বিটিআরসর চেয়ারম্যান এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে এ নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এছাড়া ইন্টারনেট মাধ্যমগুলোর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন, ডোমেইন বিক্রি ও বিভিন্ন প্রকার লাইসেন্স বিক্রির ফিসহ যেকোনো লেনদেনের বিপরীতে যে পরিমাণ টাকা পরিশোধ করা হয় তার থেকে আদায়যোগ্য রাজস্ব সংগ্রহ করতে বলা হয়। একইসঙ্গে ইন্টারনেটভিত্তিক কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে প্রয়োজনীয় রাজস্ব আদায়ের কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল এক আইনজীবী গুগল ও ফেসবুকসহ ইন্টারনেটভিত্তিক সব ধরনের প্রতিষ্ঠানের রাজস্ব ফাঁকির বিরুদ্ধে রিট করেন। রিটে উল্লেখ করা হয়, ইন্টারনেটভিত্তিক সব প্রতিষ্ঠানকে করের আওতায় আনা, প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশে পরিচালনার জন্য নীতিমালা প্রস্তুত করা, প্রতিষ্ঠানগুলো কী পরিমাণ টাকা নিচ্ছে তার জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি ও চাওয়া হয় সেই কমিটি দিয়ে গত ১০ বছরে কী পরিমাণ অর্থ নেয়া হয়েছে তা নিরূপণের নির্দেশনা।

পূর্বকোণ/রাশেদ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট