চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

কিশোর মস্তিষ্ক গঠনে প্রভাব ফেলে সামাজিক মাধ্যম

অনলাইন ডেস্ক

১০ জানুয়ারি, ২০২৩ | ৮:৫৩ অপরাহ্ণ

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আমাদের আধুনিক জীবনে এক পরম বাস্তবতা। প্রযুক্তির কল্যাণকর দিকগুলো যেমন রয়েছে, তেমনি এর নেতিবাচক দিকও রয়েছে।

এ মাধ্যমগুলোর ব্যবহারকারীদের বড় একটি অংশ বয়সে কিশোর-কিশোরী। নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে কিশোর-কিশোরীদের সামাজিক মাধ্যমে ঘন ঘন প্রবেশের প্রবণতা তাদের মস্তিষ্কের উন্নয়নে প্রভাব ফেলতে পারে।

 

সম্প্রতি মার্কিন মেডিকেল জার্নাল ‘জামা পেডিয়াট্রিক্সের’ গবেষণা পত্রে উঠে এসেছে, সামাজিক মাধ্যম ঘন ঘন ও অতিমাত্রায় ব্যবহারের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমের পুরস্কার বা সাজার ফলে কিশোর মস্তিষ্ক আগের চেয়ে বেশি স্পর্শকাতর হয়ে উঠতে পারে।

‘এসব অনুসন্ধান থেকে ইঙ্গিত মেলে, যেসব শিশু সামাজিক মাধ্যম দেখতে দেখতে বড় হয়, তারা প্রায়ই সহপাঠীদের প্রতিক্রিয়া জানানোর বেলায় অতিমাত্রায় সংবেদনশীল হয়ে উঠছে।’ -এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ইউনিভার্সিটি অফ নর্থ ক্যারোলাইনা-চ্যাপেল হিল’ গবেষক ও এ গবেষণার সহ লেখক ইভা টেলজার।

 

এ গবেষণার জন্য গত তিন বছরে উত্তর ক্যারোলাইনার গ্রামীণ এলাকার বিভিন্ন পাবলিক স্কুল থেকে ১৭০ জন শিক্ষার্থীকে বাছাই করা হয়।

গবেষণার শুরুতে, গবেষকরা পর্যবেক্ষণ করেন অংশগ্রহণকারীরা কতক্ষণ পরপর ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও র‌্যাপচ্যাটের মতো বিভিন্ন জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যমে প্রবেশ করছেন। দেখা গেছে, সামাজিক মাধ্যমে কারও প্রবেশের সংখ্যা দিনে একবারেরও কম, আবার কেউ কেউ দৈনিক ২০ বারেরও বেশিবার প্রবেশ করেছেন। ‘সামাজিক প্রতিক্রিয়ার বেলায় এ বেড়ে যাওয়া সংবেদনশীলতা ভবিষ্যতে সামাজিক মাধ্যমে বুঁদ হয়ে থাকায় উৎসাহিত করতে পারে।’-বলেন গবেষণার সহ-লেখক মারিয়া মাজা।

 

বিজ্ঞানীরা বলছেন, সামাজিক প্ল্যাটফরমের ‘লাইক’, ‘কমেন্ট’, ‘নোটিফিকেশন’ ও ‘মেসেজ’ সামাজিক প্রতিক্রিয়ার অপ্রত্যাশিত প্রবাহ তৈরি করে।

গবেষণায় উঠে এসেছে, যেসব অংশগ্রহণকারী অভ্যাসগতভাবেই সামাজিক মাধ্যমে প্রবেশের মতো আচরণ করেছেন, তাদের মধ্যে মস্তিষ্ক গড়ে ওঠায় বিশেষ কিছু পরিবর্তন লক্ষ করা গেছে। তথ্যসূত্র: যুগান্তর

 

পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট