চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

বিশ্বের সবচেয়ে বড় পাওয়ার ব্যাংক, কী আছে তাতে?

তথ্য প্রযুক্তি ডেস্ক

২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ | ১:৪৫ অপরাহ্ণ

দিনের বেশিরভাগ সময় কাজের জন্য বাইরে থাকতে হয় আমাদের। এসময় ফোনের চার্জ বাঁচিয়ে রাখা কিন্তু খুবই মুশকিল। কারণ সময় পেলেই স্মার্টফোনের নানা অ্যাপে ঢুঁ মারতে ভোলেন না কেউ। ফলে খুব দ্রুত শেষ হয় ফোনের চার্জ। ধরুন আশেপাশে ফোন চার্জ দেওয়ারও উপায় নেই। এক্ষেত্রে পাওয়ার ব্যাংক একমাত্র ভরসা।

আবার ধরুন লম্বা ট্যুরে গেলেন সেখানে ফোনের চার্জ দিতেও এটিই একমাত্র উপায়। স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর প্রায় ৯০ শতাংশই পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহার করেন। আচ্ছা বলুন তো, আপনার পাওয়ার ব্যাংক কত মিলিএম্পের? যেটাই হোক না কেন, তা নিতান্তই কম। খুব বেশি হলে একসঙ্গে দুটি ফোন চার্জ করতে পারবেন।

তবে বিশ্বের বৃহত্তম পাওয়ার ব্যাংকে একসঙ্গে চার্জ দেওয়া যায় ৫ হাজার ফোন। অবাক হচ্ছেন? হ্যান্ডি গেং নামের এক চীনা ব্যক্তি তৈরি করেছেন এই পাওয়ার ব্যাংকটি। যেটি ২ কোটি ৭০ লাখ মিলিএম্পের। এটিই বিশ্বের বৃহত্তম পাওয়ার ব্যাংক। এই পাওয়ার ব্যাংক দিয়ে চার্জ দেওয়া যাবে ৩ হাজার মিলিএম্পের ব্যাটারি যুক্ত ৫ হাজারের বেশি ব্যাটারির।

হ্যান্ডি গত জানুয়ারিতে ইউটিউবে একটি ভিডিও পোস্ট করেন, যেখানে তিনি পাওয়ার ব্যাংক তৈরির প্রক্রিয়া বিস্তারিত জানান। তিনি ক্যাপশনে লেখেন, ‘আমার কাছে একটি পাওয়ার ব্যাংক ছিল। তবে আমার মনে হতো অন্যদের কাছে হয়তো আমার পাওয়ার ব্যাংকের চেয়েও বড় পাওয়ার ব্যাংক আছে। আমি এতে একদমই খুশি ছিলাম না। তাই আমি একটি ২ কোটি ৭০ লাখ মিলিএম্পের পোর্টেবল চার্জার পাওয়ার ব্যাংক তৈরি করেছি’।

পাওয়ার ব্যাংকটি লম্বায় ৫.৯ ফুট ও চওড়ায় ৩.৯ ফুট। বিশাল এই ডিভাইসটিতে একটি প্রতিরক্ষামূলক ফ্রেম রয়েছে। এতে রয়েছে প্রায় ৬০টি পোর্ট। আউটপুট চার্জিং সংযোগকারীর মাধ্যমে ২২০ ভোল্টের বৈদ্যুতিক ভোল্টেজ সাপোর্ট নিতে পারে।

এই পাওয়ার ব্যাংক দিয়ে টিভি, ওয়াশিং মেশিনের মতো বড় ইলেকট্রনিক আইটেমগুলোও চালাতে পারবেন যে কেউ। এমনকি ইলেকট্রিক স্কুটারও চার্জ করা যাবে।

একটি প্রযুক্তি বিষয়ক সাইট তাদের রিপোর্টে বলছে, গেং এর পাওয়ার ব্যাংকের ৩ হাজার মিলিএম্পের ব্যাটারি যুক্ত ৫ হাজার ফোন চার্জ করার ক্ষমতা রয়েছে। তাদের ধারণা, গেং পাওয়ার ব্যাংক তৈরিতে একটি বড় ব্যাটারি প্যাক ব্যবহার করেছেন। যা বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া

 

 

পূর্বকোণ/এসি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট