চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

সু স্থ থা কু ন

শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিচ্ছে না তো ? শীতে বুঝে যান এই ক’টা লক্ষণেই

১২ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ৩:৫৬ পূর্বাহ্ণ

শীতে পানি খাওয়ার পরিমাণ এমনিই কমে যায়। যেহেতু ঘাম হয়ে শরীর থেকে জল বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শীতে কিছুটা বন্ধ থাকে, তাই পানি খাওযার তাগিদও কমতে থাকে এই সময়। তবে শরীর কিন্তু গরমে কাজ করতে যতটা পানি কাজে লাগায়, শীতেও জৈবিক কাজ সারতে ততটাই পানির ব্যবহার করে। মুশকিল হয়, পানির অভাবটা শীতে টের পাওয়ার উপায় থাকে না বলে। মানবদেহের ৭৫ ভাগই পানি দিয়ে তৈরি। খাবার ছাড়া কয়েক দিন কাটাতে পারলেও পানি বিনা অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রভূত। শারীরিক জটিলতা কিন্তু তাই পানির ঘাটতিতে থেমে থাকে না। একটু খেয়াল রাখলে আর নিয়মানুবর্তী হলে শীতেও পানি খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে পারেন। এমনিতেই শরীর শুধু পানিকে জমিয়ে রাখতে পারে না। শারীরবৃত্তীয় কাজে দরকারি পানির অভাব হলে সে বাধ্য হয় নুনের সঙ্গে পানির জোট বাঁধিয়ে জমিয়ে রাখে শরীরে। এতেও কিছুটা ফোলাভাব আসে শরীরে। পানি কেন খান না, তার সহজ উত্তর তেষ্টা পায় না হতেই পারে। কিন্তু তেষ্টা পাচ্ছে না বলেই যে পানির ঘাটতি হচ্ছে না এমনটা ভাবা কিন্তু ভুল। কোন কোন উপসর্গে বুঝবেন, শরীর পানি চাইছে?

কোনও অসুখ ছাড়াও মাথা যন্ত্রণা ও সহজে ক্লান্তি : শরীরে পানির অভাব দেখা দিলে একপ্রকারের মাথা যন্ত্রণা দেখা দেয়। এমনিতে মাইগ্রেন বা চোখের কোনও সমস্যা না থাকলেও হঠাৎই মাথা ধরলে বুঝবেন ‘ওয়াটার থেরাপি’ দরকার। শরীরে অল্পেই ঝুপ করে নেমে আসা ক্লান্তিও জানান দেয়, পানির অভাব ঘটছে। অনেকটা শ্রমের কাজ বা গা-ঘামানো কোনও কাজে ব্যস্ত থাকলে ফাঁকে ফাঁকে একটু বিরাম নিয়ে পানির খেলে দেখবেন, সহজে ক্লান্ত হচ্ছেন না।

অল্পেই অসুস্থ : শীতে কথায় কথায় অসুস্থ হলে শুধু ওষুধপত্রেই ভরসা রাখবেন না। তার সঙ্গে চেষ্টা করুন পানির পরিমাণও বাড়াতে। শরীরের টক্সিন ও ব্যাকটিরিয়াকে শরীর থেকে বার করে দেয় পানি। কম পানি খেলে সে সব ভাল করে বেরতে পারে না। ফলে শরীর দুর্বল হতে থাকে। সহজেই আক্রান্ত হতে পারেন বাইরের ভাইরাসে।
মূত্রের সময় জ্বালা : মূত্রের মাধ্যমে শরীরের অনেকটা টক্সিন বেরিয়ে যায়। কিন্তু পানি কম খেতে থাকলে শরীর তার পর্যাপ্ত টক্সিন বয়ে নিয়ে যাওয়ার উপকরণ পায় না। তাই মূত্র কম তো হয়ই, সঙ্গে তাতে জ্বালাভাবও থাকে। পানি বেশি করে খেয়েও যদি এই সমস্যা না কমে, তা হলে অবশ্যই ইউরোলজিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

কোষ্ঠকাঠিন্য : পানি কম খেলে শরীর একটা বিষয়ই বোঝে- নিজের জৈবিক কাজগুলো সারতে যেনতেন ভাবে পানির জোগানটি রাখা। তাই পানি কম খেলে কোলন বর্জ্য জমা করার সময় মল থেকেও পানিটুকু শুষে নেবে। ফলে মল কঠিন হয়ে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে।
খিদের আধিক্য : যেহেতু পানি আর খিদে জানান কেন্দ্রগুলি শরীরে খুব কাছাকাছি অবস্থান করে, তাই খিদে পেয়েছে এমন মনে হলেও তা আসলে তেষ্টা পাওয়ার নির্দেশও হতেই পারে। তাই কিছু খাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই আবার খিদে পেয়েছে বুঝলে আর বার বার এমন হতে থাকলে জোর দিন পানি খাওয়ায়।

ত্বকের সমস্যা : শরীরে টক্সিন জমলে অবধারিত ভাবে তা ত্বককে নিষ্প্রাণ করে তুলবে। রোগ ঠেকাতে সহজে পারা যাবে না বলে এর হাত ধরেই ত্বকে দেখা দেবে মরসুমি নানা অসুখ। ত্বক খসখসে হয়ে পড়া থেকে শুরু করে ব্রণর হানা সবই কম পানি খাওয়ার কারণেও হতে পারে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট