চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

অফিসের কাজের চাপেও স্ট্রেস ফ্রি থাকার উপায়

অনলাইন ডেস্ক

১৫ নভেম্বর, ২০১৯ | ৬:০৬ অপরাহ্ণ

দশটা-পাঁচটা অফিস হোক বা কর্পোরেট সেক্টরের টানা ন’দশ ঘণ্টার শিফট, দিনের অনেকটা সময় আমাদের কাটে কর্মজগতে। তাই ধকল, উদ্বেগ আর দুশ্চিন্তা জীবনের সঙ্গে না চাইতেও জড়িয়ে পড়েছে। কাজের চাপে রাতের পর রাত ঘুম আসছে না, কোনো কোনো সময় এমনটাও ঘটে অনেকের সঙ্গে।

কর্মজীবনের এই প্রবল চাপ ক্ষতি করছে ব্যক্তিগত ও সাংসারিক জীবনেরও। অনেকে এই জাঁতাকলের ক্ষতিকর দিক বুঝলেও, বুঝে উঠতে পারছেন না কী ভাবে সামলে উঠবেন কর্মজীবনের এই চাপ। ছোটবড় যে কোনো সংস্থাতেই কাজের চাপ থাকবেই। আমরা অনেক ক্ষেত্রেই ঠিক ‘টাইম ম্যানেজমেন্ট’ করে উঠতে পারি না। আর তার প্রভাবও অনেকটা পড়ে কাজের ক্ষেত্রে। এছাড়া কর্মসংস্থায় সহকর্মী ও সেখানকার পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো, উন্নতির প্রতিযোগিতাও উদ্বেগ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। তবে কিছু সহজ উপায় মানলে এই চাপ কিন্তু অনেকটা কাটিয়ে ওঠা যায়। এমনকি সময়ে অফিস গিয়ে বরাদ্দ সময়ের মধ্যেই সেরে ফেলা যায় অফিসের সব কাজ। রইল সে সব উপায়।

 ওয়ার্ক প্ল্যান: দিনের শুরুতেই ঠিক করে নিন কোন সময় ঠিক কোন কাজটা করবেন। তবে দিন গড়নোর সঙ্গে সঙ্গে হাতে একাধিক নতুন কাজ আসতেই থাকে। এক এক করে নোট করে রাখুন সেই সব কাজের তালিকা। এ বার কাজের গুরুত্ব অনুযায়ী ঠিক করে নিন কোনটা আগে সারবেন।

টাইম ম্যানেজমেন্ট: জমে থাকা অতিরিক্ত কাজের চাপই আপনার ধকল আর দুশ্চিন্তার মূলে। প্রতি দিনের কাজ সে দিনই সেরে ফেলার চেষ্টা করুন। অহেতুক কাজ জমিয়ে রেখে দেবেন না। আর খুব বেশি প্রয়োজন না থাকলে অফিসের কাজ বাড়ি নিয়ে যাবেন না। বাড়িতে যেটুকু সময় পাচ্ছেন, তা একান্তই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কাটান। কাজের চাপ আর কান্তি কাটিয়ে তুলতে ‘ফ্যামিলি টাইম’ খুবই জরুরি।

সহকর্মী এবং বসের সঙ্গে সম্পর্ক: কর্মক্ষেত্রে আপনার সহকর্মী এবং বসের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক ঠিক কেমন, আপনার অফিস টাইমে আপনার চারপাশে কেমন লোকজন কাজ করছে  তার উপরেও আপনার কাজ নির্ভর করে অনেকখানি। সকলের সঙ্গেই কাজ চালিয়ে যাওয়ার মতো সুসম্পর্ক বজায় রাখা জরুরি। বিশেষ করে টিম ওয়ার্কের ক্ষেত্রে এই পারস্পরিক সম্পর্কই কাজের গতিকে বেঁধে রাখে। তবে কোনও কোনও সহকর্মী এই সুসম্পর্কের সুযোগ নিয়ে আপনার উপর অতিরিক্ত কাজের ভার চাপাচ্ছেন কি না, সে সম্পর্কে সচেতন থাকুন। প্রয়োজনে কথা বলুন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে।

আলোচনা: কোনো বিষয় সম্পর্কে যে কোনো রকম সন্দেহ থাকলে বা বুঝতে না পারলে সঙ্গে সঙ্গে সিনিয়ারদের পরামর্শ নিন। অনেক সময় এমনটা করতে অনেকেই সঙ্কোচ বোধ করেন। আর তাতেই কাজে সময় ব্যয় হয় বেশি। ভুলের পর তার দায় থেকে একটা মানসিক চাপ তো জন্ম নেয়ই, এ ছাড়া ভুল ঠিক করার জন্যও ব্যয় হয় অতিরিক্ত সময়।

আড্ডা: কাজ চলাকালীন টুকটাক হাসি-মস্করা-আড্ডা সব অফিসেই হয়। সে সবে দোষ নেই, বরং এতে কাজে গতি আসে। কিন্তু এই আড্ডার জন্য কাজ বাকি রাখার মতো ভুল করবেন না। আড্ডার সময়টুকুও নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখুন। কত ক্ষণ কোন আড্ডায় যোগ দেবেন, এই হিসেবটা কাজের চাপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই ঠিক করুন। অফিসে মোবাইল ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সচেতন হোন। মোবাইলে বেশি মন দিতে গিয়ে হাতের কাজ শেষ হয় না অনেকেরই।

ছোট ব্রেক: অনেকেই ভাবেন, একটানা বসে কাজ করে গেলে সময়ে কাজ শেষ হয়। তাই তাঁরা জায়গা ছেড়ে খুব একটা ওঠেন না। এই ধারণায় সায় নেই মনোবিদদের। বরং তাঁদের মতে, এক-দু’ঘণ্টা অন্তর সিট ছেড়ে উঠুন। সহকর্মীদের সঙ্গে কথাবার্তা বলুন, কয়েক পা হেঁটে আসুন। এতে একটানা বসে থাকার বদভ্যাস থেকেও কিছুটা ছাড় মিলবে, কাজের গতিও ফিরবে এতে।

 

 

 

 

 

 

 

 

পূর্বকোণ/এম

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট