চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

সাশ্রয়ী মূল্যে যক্ষ্মা জয় করলো বাংলাদেশি রুশদির দল

অনলাইন ডেস্ক

১ নভেম্বর, ২০১৯ | ৭:৩৪ অপরাহ্ণ

প্রতি বছর যক্ষ্মায় মানুষ মরছে বিশ্বে ১০ লাখের বেশি। বিশ্বজুড়ে বর্তমানে রোগটিতে আক্রান্তের সংখ্যাও কোটির ওপরে। তবে দুঃখের বিষয় এই রোগে আক্রান্তদের বেশিরভাগেরই বাস এমন সব দেশে ঠিকমতো নেই যেখানে সক্রিয় যক্ষ্মা রোগ নির্ণয়ের উপায়গুলোও। যা আছে তার খরচও অনেকের সাধ্যের বাইরে। যে কারণে রোগটি বেশ ভালোভাবেই শরীরে বাসা বাঁধার সুযোগ পায়। ফলে বাড়ে মৃত্যুর ঝুঁকি।

এত দুঃসংবাদের মধ্যেও সুখবর হচ্ছে বাংলাদেশি গবেষক রুশদি আহমেদসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের গবেষকরা এ অবস্থা থেকে মুক্তির দিশা দেখিয়েছেন। কফের পরিবর্তে কম খরচায় কেবলমাত্র রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে যক্ষ্মা নির্ণয়ের উপায় খুঁজে পেয়েছেন ওই গবেষক দল। তাদের উদ্ভাবিত এই পদ্ধতিতে মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে দুই ডলার খরচ করেই জানা যাবে কেউ শরীরে যক্ষ্মার জীবাণু বহন করছে কি না?

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) আহ্বানে সাড়া দিয়ে এমআইটির বায়োলজিক্যাল ইনস্টিটিউট, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক, ব্রিগহ্যাম ওম্যান হাসপাতালের যৌথ একটি গবেষক দল খুবই প্রাথমিক পর্যায়ের রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে যক্ষ্মা রোগ নির্ণয়ের উপায় উদ্ভাবন করেছে। গেল সপ্তাহে সায়েন্স ট্রান্সলেশনাল মেডিসিন সাময়িকীতে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত এক নিবন্ধে বলা হয়, তানজানিয়ার ৪০৬ জন কাশির রোগীর ওপর গবেষণা চালান রুশদি আহমেদসহ অন্য গবেষকরা। গবেষকরা ওইসব রোগীর রক্তে যান্ত্রিক কৌশল ও চার ধরনের প্রোটিন ব্যবহার করে সাধারণ কাশি ও যক্ষ্মার রোগীর মধ্যে তফাৎ দেখতে পান।

গবেষক দলটি এজন্য এমন একটি অতিসংবেদনশীল পর্দা তৈরি করে যাতে আলাদাভাবে ফুটে ওঠে রক্তের মধ্যেকার ওই চার ধরনের প্রোটিন। সংবেদনশীল ওই প্যানেল থেকেই গবেষকরা সক্ষম হন ৪০৬ জনের মধ্য থেকে ৩১৭ জন যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত করতে।

নিবন্ধটিতে আরো বলা হয়, তাদের এই রোগ নির্ণয়ের হার আগের যে কোনো পদ্ধতির চেয়ে অনেক বেশি সঠিক। তবে এই পরীক্ষাটি সর্বসাধারণের জন্য শুরু করার আগে প্রয়োজন পড়েবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন ও উন্নয়নকল্পে কাজ করার।

পূর্বকোণ/রাশেদ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট