চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

স্বাদে নয় গুণে অনন্য তিতা করলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

১২ অক্টোবর, ২০১৯ | ২:৩১ পূর্বাহ্ণ

করলা দেখতে সুন্দর কিন্তু স্বাদে তিতা, তবে অনেক উপকারী। হাজার বছর ধরে এটি ওষুধ হিসাবে ব্যবহার হয়ে আসছে। করলা শিশুদের একদমই পছন্দ নয়। তরকারি হিসেবে খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। সব সময়েই পাওয়া যায় তবে গ্রীষ্মকালে চাহিদা বেশি।

করলা ডায়াবেটিস, লিভার, কোষ্ঠ কাঠিন্য এবং কৃমি রোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। করলার পরিচিতি বিশ্বব্যাপী। করলার আদি নিবাস ভারতীয় উপমহাদেশ। যা ১৪শ’ শতাব্দিতে চীনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। করলা আমাদের দেশে উচ্ছে ও উসতা নামেও পরিচিত। বর্ণনা : করলা তেতো স্বাদযুক্ত এবং এর শরীর কাঁটার মত ওয়ার্টে ভরা। পরিণত অবস্থায় লম্বাটে, রঙ কাঁচা অবস্থায় সবুজ, পাকলে কমলা বা লাল, দৈর্ঘ্য ১২-২৫ সেন্টিমিটার (৫-১০ ইঞ্চি), প্রস্থ ৫-৭ সে.মি. হয়ে থাকে। করলা কেটে লবণ পানিতে ডুবিয়ে রাখলে তিক্ততা কমে। দক্ষিণ এশীয় এই সবজি এখন সারা পৃথিবীতে বিশেষ করে ক্রান্তীয় অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। করলা গাছ কিউকার্বিটেসি অর্থাৎ শশা পরিবারের সদস্য। এটি একবর্ষজীবী লতা জাতীয় উদ্ভিদ। একই গাছে পুরুষ ও স্ত্রী ফুল হয়। করলার বীজ এঁটেল মাটিতে ২.৫-৫ সেমি গভীরে এবং ৯০-১২০ সে.মি.

দূরত্বে লাগাতে হয়। উপকারিতা : ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য করলা অধিক কার্যকরী। এর মধ্যে রয়েছে চ্যারান্টিন, ইনসুলিনের মত পেপটাইড এবং এলকালয়েড। এগুলো রক্তের সুগার কমিয়ে ডায়াবেটিসে উপকার করে। বাতের ব্যথায় নিয়মিত করলা রস খেলে ব্যথা আরোগ্য হয়। আয়ুর্বেদের মতে করলা কৃমিনাশক, কফনাশক ও পিত্তনাশক। করলার জীবানু নাশক ক্ষমতাও রয়েছে। ক্ষতস্থানের উপরে পাতার রসের প্রলেপ দিলে এবং করলা গাছ সেদ্ধ করা পানি দিয়ে ক্ষত স্থান ধুলে কয়েকদিনের মধ্যেই ক্ষত শুকিয়ে যায়। এলার্জি হলে এর রস দু’ চা চামচ দুবেলা খেলে সেরে যাবে।
করলা জীবাণুনাশী-বিশেষ করে ই- কোলাই নামক জীবাণুর বিরুদ্ধে কার্যকর। ফলে ডায়রিয়াও প্রতিরোধ হয়। এছাড়া করলা নানা রকম চর্মরোগ প্রতিরোধ করতেও অত্যন্ত কার্যকর।

করলার জুস লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়ায়, রক্ত পরিশোধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

করলায় আছে পালং শাকের চেয়ে দ্বিগুণ ক্যালসিয়াম আর কলার চেয়ে দ্বিগুণ পটাশিয়াম। আছে যথেষ্ট লৌহ, প্রচুর ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং আঁশ। ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি এন্টি অক্সিডেন্ট। যা বার্ধক্য ঠেকিয়ে রাখে, শরীরের কোষগুলোকে রক্ষা করে। আরও আছে লুটিন আর লাইকোপিন। এগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট