চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

কচুর মুখির উপকারিতা

নিজস্ব প্রতিবেদক

১০ আগস্ট, ২০২৪ | ১২:২২ অপরাহ্ণ

কচুর মুখি একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। একসময় এই সবজিটি ছিল মৌসুমী। তবে এখন ১২ মাসই পাওয়া যায় এটি। আমারা অনেকেই কচুর মুখি ভাজি, ভর্তা পছন্দ করে থাকি।

ক্লান্তি হ্রাস করে : কচুর মুখি এনার্জি ধরে রাখতে ও ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকে বলে অ্যাথলেটদের জন্য এটি ভালো খাবার।

ওজন কমায় : যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য একটি ভালো খাবার হচ্ছে কচুর ছড়া। কারণ এর ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম।

হজম সহায়ক : এই সবজিতে প্রচুর ফাইবার থাকে বলে পরিপাক প্রক্রিয়ার জন্য খুবই উপকারী। এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে।

পাকস্থলী পরিষ্কার করে : ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে পরিপাক প্রক্রিয়ায় সাহায্য করার পাশাপাশি পাকস্থলীর বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশনেও সাহায্য করে কচুর মুখি।

হৃদস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী : কচুর মুখিতে ফ্যাট ও কোলেস্টেরল কম থাকে বলে ধমনীর শক্ত হয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে। তাই নিশ্চিন্তে কচুর মুখি খেতে পারেন। দৈনিক ভিটামিন ডি গ্রহণের মাত্রার ১৯% পূরণ করা যায় এক কাপ কচুর ছরা খেয়ে যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।

হাইপারটেনশন কমায় : হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের কম চর্বি যুক্ত ও কম সোডিয়াম যুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এক কাপ কচুর মুখিতে ২০ গ্রাম সোডিয়াম ও ০.১ গ্রাম ফ্যাট থাকে বলে এটি হাইপারটেনশনের রোগীদের জন্য ভালো খাবার। এছাড়াও কিডনি রোগীদের জন্য ভালো।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট : ভিটামিন সি এর চমৎকার উৎস কচুর মুখি। এক কাপ কচুর মুখি দৈনিক ভিটামিন সি এর চাহিদার ১১% পূরণ করতে সক্ষম। শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে এই বর্তুলাকার সবজিটি। এছাড়াও ভিটামিন সি ইমিউনিটি বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।

বয়স বৃদ্ধিকে প্রতিহত করে : কচুর মুখি একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। এতে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন যেমন- এ, সি ও বি ভিটামিন থাকে। কপার, ম্যাঙ্গানিজ, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, সেলেনিয়াম, পটাশিয়াম, বিটা ক্যারোটিন এবং ক্রিপ্টোজেন্থিন নামক খনিজ উপাদান থাকে কচুর মুখিতে। এই উপাদানগুলো ভালো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয় এবং বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে ধীর গতির করে। এতে প্রোটিনও থাকে এবং এটি গ্লুটেন মুক্ত খাবার।

পূর্বকোণ/এসএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট