চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

ভুল খাবার খেয়ে দিন শুরু করছেন না তো?

অনলাইন ডেস্ক

১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ১২:৪০ অপরাহ্ণ

কর্মব্যস্ত এ জীবনে সবাই দৌড়ের ওপর থাকে! অফিসে চাকরি হোক বা ঘরদোর দেখভালের কাজ, সব ক’টা কাজই জরুরি এবং গুরুত্বপূর্ণও বটে। তাই দিনের শুরু থেকেই শরীর ও মন দুই-ই তরতাজা রাখলে তবেই কিন্তু সারাদিনের কাজের শক্তি জুটবে। শরীরচর্চা, ডায়েট মেনে খাওয়াদাওয়া এগুলো নিত্যদিনের অভ্যাসের অংশ করে তুললেও অনেক সময়ই কাজের চাপে রুটিন এলোমেলা হয়ে যায়। পুষ্টিবিদরা কিন্তু বলছেন, এই এলোমেলো হওয়ার ক্ষতি রুখতে নজর দিতে হবে দিনের প্রথম পাতের দিকে।

সকালের প্রথম খাওয়াকেই সারাদিনের মূল হাতিয়ার করে চলার পক্ষেই মত দিয়ে থাকেন পুষ্টিবিদরা। তাদের মতে, শরীরটা গাড়ির মতো। বেরুনোর সময়ই তেল ভরে নিলে যেমন সারা রাস্তা নিশ্চিন্তে ভ্রমণ করা যায়, তেমনই দিনের শুরুর খাওয়াটাই হবে জবরদস্ত ও ভারী। তার পরের সব খাওয়ার পরিমাণই আগেরটার তুলনায় কমবে। দু’তিন ঘণ্টা অন্তর খাওয়ার চেষ্টা করুন। তবে এই সকালে খাওয়ার প্রশ্নেই প্রধান ভুলগুলো করে থাকি আমরা। হয় সময়ে খাই না নয়তো ভুল খাবার খেয়ে ফেলি। অনেকে আবার ব্রেকফাস্ট খাই-ই না। এসব ভুল অভ্যাসই শরীরে ক্ষতি করে, মেদ বাড়ায়। সারা রাতখালি পেটে থাকার পর সকালেও শরীরকে খাবার থেকে বঞ্চিত করলে মেদ বাড়ার সম্ভাবনা প্রভূত। শরীরচর্চা বাকি সারাদিন ডায়েটেও সেই ক্ষতি ঢাকে না। তাই সকাল ডাইনিং টেবিল সাজানোর আগে জেনে নিন, প্রতি দিনের প্যাকেটজাত খাবার, পাউরুটি, লুচি-পরোটা বা সালামি-সসেজ সিরিয়ালে ভরসা না করে কী কী খাবারে আস্থা রাখাটা জরুরি। ঠিক পুষ্টিগুণ পেতে কারা কারা সাহায্য করবে আপনাকে, রইল তারই হদিস।

 

লেবু-পানি: চা নয়, দিন শুরু করুন হালকা গরম পানিতে লেবু মিশিয়ে খেয়ে। গরম পানির সঙ্গে লেবু খেলে এসিড তো হয়ই না উল্টে শরীরের বাড়তি টক্সিন বের করে শরীরকে দূষণমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। সকালে নানা রকম ওষুধ খাওয়ার কারণে এই পানি খেতে না পারলে দিনের যেকোনো সময় খালি পেটে খেতেই পারেন। তিন-চার বার পর্যন্ত খাওয়া যায় এই পানি।

গ্রিন টি: মেটাবলিজম বাড়িয়ে নিন সকালের দিকেই। কফি নয়, আস্থা রাখতে শুরু করুন গ্রিন টিতে। সঙ্গে বিস্কুট বাদ দিন, বরং কাজু-আমন্ড। দু’-এক মুঠো মুড়িও চলতে পারে। তবে বিস্কুটে ময়দা ও এরারুট থাকে। তাই চায়ের সঙ্গে নিয়ম করে বিস্কুট খাওয়া বাদ দিন।

ভেজ বা চিকেন সালাড: দিন শুরু করুন শাক-সবজি ও প্রোটিন দিয়ে। চিকেন কিমা সেদ্ধ করে শশা-টমাটো-গাজর-লেটুস-কাজুবাদাম, পেঁয়াজের সঙ্গে দিন। অল্প বিটলবণ ও গোলমরিচ ছড়িয়ে দিন ওপর থেকে। ভাল হয় দই ছড়িয়ে খেলেও। তবে চিজ, মেয়োনিজ একেবারেই নয়। অনেকে এমন সালাদে সেদ্ধ ডিমও কুচিয়ে দেন। সেটিও পেট ভরা ও পুষ্টি দুইয়ের জন্যই ভাল।

ডিম সেদ্ধ: পোচ, অমলেট নয়, তেল এড়াতে সকালের খাবারে রাখুন সেদ্ধ ডিম। কুসুম-সহ খেলেও কোনো ক্ষতি নেই। আধুনিক গবেষণা কোলেস্টেরলের সঙ্গে ডিমের কুসুমের শত্রুতা শিকার করে না।

রুটি: খুব আধুনিক খাবার পছন্দ না হলে আস্থা রাখতেই পারেন বাঙালি খাবার, রুটিতে। রুটি-সবজি যেমন উপকারী, তেমনই রুটির মধ্যে ছানা মুড়িয়ে খেতে পারেন, চলতে পারে রুটি, ডালও। প্রোটিনের বড় ভান্ডার ডালও।

ওটস: দই বা দুধের সঙ্গে ওটস খেতে পারেন সকালের জলখাবারে। পেট যেমন ভরা থাকবে, তেমনই শরীর পাবে তার প্রয়োজনীয় ফাইবার।

ফল: নাস্তায় এগুলোরই সঙ্গে রাখুন একটা বা দুটো ফল। প্যাকেটবন্দি ফলের রস কখনো নয়। বাড়িতেই ফলের রস করে সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে নিন। তবে ফল চিবিয়ে খাওয়াতেই উপকার বেশি। 

 

 

পূর্বকোণ/ময়মী

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট