চট্টগ্রাম রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ভিটামিনের চাহিদা পূরণে খেতে পারেন মুলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৫ নভেম্বর, ২০২৩ | ২:০৪ অপরাহ্ণ

মুলার নাম শুনলে নাক কুঁচকায় অনেকে। মূলত গন্ধের কারণে মুলা কারও কারও কাছে অপছন্দের। কিন্তু যে সবজিটিকে অবহেলায় করা হয়- সেই মুলা মানবশরীরের জন্য বেশ উপকারী। মুলা যেমন উপকারী তার চেয়ে বেশি উপকারী মুলা শাক।

 

এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ এবং মিনারেল পাওয়া যায়। শীতকালে নিয়মিত মুলা খেলে দৈনিক ভিটামিনের চাহিদার অনেকটাই পূরণ হয়। এতে ৯৫ শতাংশ পানি আছে। মাত্র ৩ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। ফলে ওজন নিয়ে সচেতন যারা, তারা নির্ভয়ে মুলা খেতে পারেন। এতে শরীরে যেমন পানির পরিমাণ বজায় থাকে, তেমনই শরীরে অতিরিক্ত মেদ ঝরাতেও সাহায্য করে।

 

মুলায় বেশ ভাল পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। ফলে সুস্বাস্থ্য, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতির জন্য নিয়মিত মুলা খাওয়া উত্তম। তবে অতিরিক্ত তাপমাত্রায় ভিটামিন নষ্ট হয়ে যায়। তাই কাঁচা খেলেই সম্পূর্ণ ভিটামিনের উপকারিতা পাবেন। মুলাতে খনিজ উপাদান ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, পটাসিয়াম ও জিঙ্কের মতো মিনারেল রয়েছে।

 

শীতের সবজি মুলা খেলে কাজে উৎসাহ বাড়ে। ভাত-রুটি খাওয়ার সময় কাঁচা মুলা লবণ দিয়ে খেলে খাবার তাড়াতাড়ি হজম হয় ও খাদ্যে রুচি বাড়ে। মুখে অরুচি হলে মুলা খেতে পারেন। এটি ক্ষুধা বাড়াতে সাহায্য করে। যারা জ্বরে ভুগছেন ও মুখে রুচি নেই, তারা মুলা চিবিয়ে খেতে পারেন। জ্বর কমবে, মুখের রুচিও বাড়বে। পেটে ব্যথা, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হবে। ত্বকের জন্য উপকারী পুষ্টি রয়েছে মুলায়। কাঁচা মুলাকে পাতলা টুকরো করে ত্বকে লাগালে ব্রণ দূর হয়। যে মায়েরা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান তারা নিয়মিত মুলা খেলে বুকের দুধ বাড়ে। পাইলস রোগীদের জন্যও মুলা অত্যন্ত উপকারী। নিয়মিত মুলা খেলে পাইলস রোগে আরাম পাওয়া যায়। শুকনো মুলার স্যুপ খাওয়ালে এবং শুকনো মুলা একটি কাপড়ের পুঁটলিতে বেঁধে সেঁক দিলেও পাইলসের কষ্ট থেকে মুক্তি মিলবে।

 

পূর্বকোণ/আরডি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট