চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

ঝুঁকিতে দেশের চার কোটি মানুষ

আর্সেনিকে প্রতি বছর মারা যায় ৪০ হাজার মানুষ : বিবিসি

৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ১১:৩১ অপরাহ্ণ

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খাবার পানিতে পাওয়া যাচ্ছে প্রাণঘাতী বিষের মতো পদার্থ। ফলে আর্সেনিক ঝুঁকিতে রয়েছে প্রায় ৪ কোটি (৪০ মিলিয়ন) মানুষ। প্রতি বছর অন্তত ৪০ হাজার মানুষ মারা যায় আর্সেনিকের কারণে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি আজ শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) ‘ডিটেকটিং এ লিথাল পয়জন ইন ড্রিংকিং ওয়াটার’ শীর্ষক একটি ভিডিও প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করে।

বিবিসি জানায়, বাংলাদেশের খাবার পানিতে এমন ধরনের প্রাণঘাতী পদার্থ রয়েছে যা খালি চোখে দেখা যায় না, আবার খাওয়ার সময়ও স্বাদের ক্ষেত্রে অনুভূত হয় না কোনো পার্থক্য। অথচ বাংলাদেশের অনেক অঞ্চলের খাবার পানিতেই প্রাণঘাতী পদার্থ আর্সেনিকের উপস্থিতি রয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে খাবার পানি জীবাণুমুক্ত করতে ভুলপদ্ধতি প্রয়োগ করায় আর্সেনিকের মতো প্রাণঘাতী পদার্থের উপস্থিতি নতুন কিছু নয়।

বাংলাদেশে প্রায় ৪ কোটি আর্সেনিক ঝুঁকিতে রয়েছে। কীভাবে আর্সেনিকমুক্ত খাবার পানি নিশ্চিত করা যায় সে বিষয়ে গবেষণা করে একদল বিজ্ঞানী সঠিক সমাধানের পথ বের করেছেন। তারা বলছেন, এ বিষয়ে সবার আগে সচেতন করতে হবে স্থানীয় মানুষদের। মানুষের মধ্যে বোঝাপড়া থাকতে হবে বিশুদ্ধ খাবার পানির মান সম্পর্কে। বিজ্ঞানীরা একটি কিট আবিষ্কার করেছে যার মাধ্যমে সহজেই নির্ণয় করা যায় পানিতে আর্সেনিকের মাত্রা। কিন্তু এই কিটের মূল্য সস্তা নয়। তাই জাতিসংঘের শিশু তহবিল সংস্থা বা ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে বিনামূল্যে দিচ্ছে এ সেবা।

বিবিসি আরও বলছে, বাংলাদেশে ৭০-এর দশকে কলেরা মহামারি আকার ধারণ করে। বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাব থেকেই তখন কলেরার জীবাণু সংক্রমিত হয়ে মানুষের প্রাণহানি ঘটায়। ওই ঘটনার পর থেকেই বিশুদ্ধ পানির জন্য দেশজুড়ে স্থাপন করা হয় নলকূপ ও গভীর নলকূপ। এ পদ্ধতিতে মাটি ভেদ করে, যেখানে পানির স্তর রয়েছে সেখান থেকে  টেনে তোলা হয় পানি। কিন্তু এই পদ্ধতিতে পানি তুলতে গিয়ে  বিজ্ঞানভিত্তিক পদক্ষেপ না নেয়ায় পানির সঙ্গে চলে আসে আর্সেনিকও। তার অন্যতম কারণ হচ্ছে, মাটি ভেদ করতে গিয়ে যেখানে আর্সেনিকের স্তর রয়েছে তাও ভেদ করা হয়, এতে পানির সঙ্গে  চলে আসে আর্সেনিক।

পূর্বকোণ/রাশেদ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট