চিনির বিকল্প হিসেবে মিছরি অনবদ্য। আয়ুর্বেদে মিছরির অনেক উপকারিতার কথা বলা হয়েছে। সকালবেলা খালি পেটে মিছরির জল খাওয়া খুব উপকারী, পেট পরিষ্কার হওয়া থেকে সর্দি, কাশি উপশম করে। মিছরির হাজারও গুণ। তবে সেই গুণের কার্যকারিতা পেতে প্রতিদিন নিয়ম করে খেতে হবে মিছরি।
কেন খাবেন: কাশি এবং সর্দিতে উপকারী- কাশি, সর্দির উপসর্গ থাকলে বা কারও ঠাণ্ডা লাগার ধাত থাকলে, কালো গোলমরিচের গুঁড়ো, মিছরির গুঁড়ো ও ঘি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে রাতে প্রতিদিন খান।
হিমোগ্লোবিনের মাত্রা উন্নত করে: শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম হলে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়, কিছু না করে ক্লান্তি বোধ করা, দুর্বলতা বোধ করা, অনেকের মাথা ঘোরা, তারপর রক্তের অভাব দেখা দেয়, কারও গায়ের রং হলুদ হয়ে যায়, মিছরির মধ্যেই লুকিয়ে আছে এই সব সমস্যার সমাধান।
হজমের উন্নতি ঘটায়: মৌরির সঙ্গে মিছরি খেলে হজম প্রক্রিয়া ভালো হয়। এটির হজমের বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যার কারণে খাবার দ্রুত এবং সহজে হজম হয়। তাই খাবার খাওয়ার পর অবশ্যই মিছরি খান।
এনার্জি বুস্টার: মুখের রুচি বাড়ানোর পাশাপাশি মিছরি খেলে শরীর শক্তি পায়।
নাক থেকে রক্ত পড়ার সমস্যা দূর করে: অনেকেরই নাক থেকে রক্ত পড়ার সমস্যা থাকে। মিছরি খেলে নাক থেকে রক্ত পড়া সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয়ে যায়।
পুরুষের শুক্রাণু বৃদ্ধি পায়: মিছরি খেলে পুরুষের শুক্রাণু উন্নত হয়।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মিছরি ক্ষতিকর: তবে যাদের উচ্চ মাত্রায় সুগার, কোলেস্টেরল রয়েছে তাদের মিছরি খাওয়া এড়িয়ে যাওয়া উচিত। ডায়াবেটিস রোগীদের যেকোনও মিষ্টিই খাওয়া ঠিক নয়।
পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ