চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ডায়াবেটিক রোগীর ডেঙ্গু হলে

৯ জুন, ২০২৩ | ১১:৩৯ অপরাহ্ণ

দিন দিন বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। যাঁদের ডায়াবেটিস আছে, তাঁদের ডেঙ্গু হলে বিশেষ কিছুু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

ডেঙ্গুর সম্ভাব্য লক্ষণ:

* হঠাৎ তীব্র জ্বর

* মাথা ব্যথা

* চোখের পেছনে ব্যথা

* মাংসপেশিতে ব্যথা

* দুর্বলতা

* বমি বমি ভাব

* শরীরে লালচে দাগ/র‌্যাশ

* নাক, মুখ বা মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া

* গলা ব্যথা

* সর্দি, কাশি

জ্বর অবস্থায় ডায়াবেটিক রোগীদের যা ঝুঁকি থাকে:

* হাইপোগ্লাইসেমিয়া বা ডায়াবেটিস কমে যাওয়া

* পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন

* শরীরে কিটোন বডি নামক রাসায়নিক পদার্থ উৎপন্ন হওয়া

জ্বর অবস্থায় ডায়াবেটিক রোগীদের করণীয়:

* পানিশূন্যতা প্রতিরোধে প্রচুর পরিমাণে পানি বা তরলজাতীয় খাবার খেতে হবে।

* যদি ব্লাড সুগার বেশি থাকে, কম ক্যালরিযুক্ত শরবত বা চিনি ছাড়া শরবত খেতে পারেন। ডাবের পানি খাওয়া যাবে। ব্লাড সুগার কমে যেতে থাকলে চিনিযুক্ত শরবতও খাওয়া যাবে।

* অতিরিক্ত ব্যায়াম করা ও হাঁটা জ্বর অবস্থায় পরিহার করতে হবে।

* ডায়াবেটিক রোগীদের স্বাভাবিক খাবার চালিয়ে যেতে হবে। তিন-চার ঘণ্টা পর পর অল্প অল্প করে খাবার খেতে হবে যেন ডায়াবেটিস খুব বেশি বেড়ে না যায়। আবার কমেও যেন না যায়।

* ব্লাড সুগার বেশি থাকলে মিষ্টি ফল (যেমন—আম/কাঁঠাল/ মাল্টা) এড়িয়ে যাওয়া ভালো বা পরিমাণমতো খেতে হবে। প্রয়োজনে ইনসুলিনের বা ওষুধের ডোজ পুনর্নির্ধারণ করতে হবে।

ডায়াবেটিস পরীক্ষা: ছয় ঘণ্টা পর পর ব্লাড সুগার পরীক্ষা করতে হবে। যদি ব্লাড সুগার ১৪ মিলিমিটার মোলের বেশি থাকে তাহলে আরো ঘন পরীক্ষা করে মাপতে হবে।

ওষুধ ও ইনসুলিনের মাত্রা:

* ইনসুলিনের ডোজ পুনর্নির্ধারণ করতে হতে পারে, যাঁরা দুই বেলার ইনসুলিন নিতেন, তাঁদের তিন বেলার ইনসুলিন নিতে হতে পারে ব্লাড সুগারের মাত্রার ওপর নির্ভর করে।

* যাঁরা মুখের ওষুধ খাচ্ছেন, তাঁদের ওষুধের মাত্রা ব্লাড সুগারের মাত্রার ওপর নির্ভর করে বাড়ানো বা কমানোর প্রয়োজন হতে পারে। খাওয়ার অরুচি বা ডায়রিয়া থাকলে মেটফরমিন জাতীয় ওষুধ বন্ধ করা ভালো।

কখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে:

* বমি (ডায়রিয়া ছয় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে থাকলে)

* ব্লাড সুগার ১৪ মিলি মোল/লি-এর বেশি থাকলে

* প্রস্রাবে কিটোন বডি থাকলে

* ডায়াবেটিক কিটো এসিডোসিসের লক্ষণ যেমন শ্বাসকষ্ট, পেট ব্যথা, পানিশূন্যতার লক্ষণ থাকলে

* ব্লাড সুগার বেশি কমে গেলে

* কিডনি, হার্ট, লিভারের অন্য কোনো রোগ থাকলে

* কোনো খাবার গ্রহণ করতে না পারলে।

পরামর্শ দিয়েছেন: ডা. মো. মাজহারুল হক তানিম, মেডিসিন, ডায়াবেটিস ও হরমোন রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, মালিবাগ, ঢাকা।

 

পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট