চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

গ্লুকোমার কারণে হারিয়ে ফেলতে পারেন দৃষ্টিশক্তি!

অনলাইন ডেস্ক

৯ মে, ২০২৩ | ৮:১৩ অপরাহ্ণ

কোনও পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি যদি বলেন, তিনি পাশের দিকে দেখতে পারছেন না, তা হলে বুঝতে হবে, অনেকটা ক্ষতি হয়ে গিয়েছে।

যা দেখে সাবধান হবেন: আট থেকে আশি, যে কোনও বয়সি মানুষের চোখেই থাবা বসাতে পারে গ্লুকোমা। ঠিক সময়ে ধরা না পড়লে এবং চিকিৎসা শুরু না করলে চিরতরে দৃষ্টিশক্তিও কেড়ে নিতে পারে এই রোগ। তাই চিকিৎসকেরা একে ‘সাইলেন্ট থিফ’ বলে থাকেন।

গ্লুকোমা ঠিক কী ও কেন হয়: চিকিৎসকদের মতে, চোখের মধ্যে যে অংশ দিয়ে তরল চলাচল করে, সেই রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলে তা জমে চোখের উপরে চাপ সৃষ্টি করে। বিশেষ করে অপটিক স্নায়ুতে। সেই চাপ বাড়তে থাকলে ধীরে ধীরে দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণতর হতে থাকে, পরবর্তী কালে যা অন্ধত্ব ডেকে আনে। প্রাথমিকভাবে ক্ষতিটা শুরু হয় পরিধির চারপাশ থেকে, তাই গ্লুকোমায় আক্রান্ত রোগীদের ‘সাইড ভিশন’ নষ্ট হতে থাকে। চোখের ভিতর পানি তৈরি হতে থাকে, অথচ বেরোনোর জায়গা পায় না- এর ফলেই তা দুর্বল জায়গাগুলিতে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। কোনও পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি যদি বলেন, তিনি পাশের দিকে দেখতে পারছেন না, তা হলে বুঝতে হবে, ক্ষতি অনেক দূর ছড়িয়ে গিয়েছে।

গ্লুকোমার প্রাথমিক লক্ষণগুলি:

১) দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যাওয়া।

২) চোখ থেকে অত্যধিক পানি পড়া। চোখ লাল হয়ে যাওয়া।

৩) আলোর দিকে তাকালে চোখে ভীষণ ব্যথা হওয়া।

৪) চোখের পাতা এঁটে যাওয়া, চোখ খুলতে না পারা।

৫) দীর্ঘ দিন কোনও স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ গ্রহণ করলে, চোখে কোনও আঘাত পেয়ে থাকলে বা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে গ্লুকোমায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে।

৬) চোখের চিকিৎসক এক বার পাওয়ার সেট করে দেওয়ার পরে সাধারণত আর এক-দেড় বছরের মধ্যে তা বাড়ার সম্ভাবনা থাকে না। তবে যদি মাস কয়েক যাওয়ার পর থেকেই দেখতে অসুবিধে হয়, কিংবা ঘন ঘন পাওয়ার বাড়ে, তা হলে সন্দেহ করতে হবে, তা গ্লকোমার প্রকোপে হতে পারে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট