চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ইফতারের পর ক্লান্তি লাগলে যা করবেন

অনলাইন ডেস্ক

৬ এপ্রিল, ২০২৩ | ১২:১১ পূর্বাহ্ণ

সারাদিন রোজা রেখে মাগরিবের আজান শুনে ইফতার করা হয়। টেবিলে সাজানো নানা পদের খাবার দেখে খাওয়ার আগ্রহ থাকে অনেক বেশি, কারণ আপনি সারাদিনের ক্ষুধার্ত। পেটপুরে মজার সব খাবার তো খেয়ে নিলেন, এরপর ভাবছেন মুহূর্তেই শক্তিশালী হয়ে যাবেন? আপনার প্রত্যাশা এমনটা থাকলেও আসলে তা হয় না। কারণ ইফতার খাওয়ার পরপরই আপনার ক্লান্ত লাগতে শুরু করে।

 

সারাদিন পর একগাদা একসঙ্গে খাবার খাওয়ার কারণে তা হজমে সময় লাগে। আর তাতেই ক্লান্ত হয়ে যায় আমাদের শরীর। জেনে নিন ইফতারের পর ক্লান্তি লাগলে যা করবেন:

 

একসঙ্গে অনেক খাবার খাবেন না: ইফতারের পর নানা পদের খাবার থেকে একটু একটু করে খেলেও পেট ভরে যায় দ্রুত। এই যে একবারে অনেকগুলো খাবার খেয়ে নেওয়া, সারাদিন রোজা থাকার পর ক্লান্তি লাগার এটি বড় কারণ। আপনি ক্ষুধার্ত ঠিক আছে, তবে পেটকেও সময় দিতে হবে হজম করতে। তাই একসঙ্গে সব খাবার না খেয়ে অল্প অল্প করে খান। কিছুক্ষণ পর পর খান। এতে শরীর খুব একটা ক্লান্ত হবে না। খাবার হজমের জন্যও পর্যাপ্ত সময় পাবে।

 

পানিশূন্যতা দূর করুন: সারাদিন পানাহার থেকে বিরত থাকার কারণে খুব স্বাভাবিকভাবেই আমাদের শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। এরপর ইফতারে ডুবোতেলে ভাজা আর বিভিন্ন মসলাদার খাবার খাওয়া হয়। ফলস্বরূপ পানির ঘাটতি পূরণ হয় না। ইফতারের পর প্রচুর পানির দরকার হয় শরীরের। তাই বিভিন্ন ফল, ফলের রস, শরবত, ডাবের পানি ইত্যাদি খান। ভাজাপোড়া খাবার খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে আনতে হবে। এতে শরীরে পানির ঘাটতি দূর হবে। সেইসঙ্গে দূর হবে ক্লান্তিও।

 

এককাপ চা কিংবা কফি: রোজায় চা কিংবা কফি পানের অভ্যাস বাদ দেন অনেকে। তবে ইফতারের পর ক্লান্তি কাটানোর জন্য এককাপ চা কিংবা কফি পান করতে পারেন। কারণ এ ধরনের পানীয়তে থাকা ক্যাফেইন আপনাকে ভেতর থেকে সতেজ রাখতে কাজ করে। তবে এই চা কিংবা কফি যেন খুব কড়া না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। সেইসঙ্গে এককাপের বেশি পান না করাই ভালো।

 

কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন: ইফতারের পরপরই শুয়ে-বসে থাকবেন না। বরং স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করুন। আমাদের শরীর আমাদের মনের কথা শুনে চলে। তাই নিজেকে ক্লান্ত ভাববেন না। বরং ইফতারের পর কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন। এতে ক্লান্তি দূর হবে সহজেই। সেইসঙ্গে হজমও ভালো হবে।

 

নামাজ পড়ে নিন: ইফতারের শুরুতে একটি খেজুর ও একগ্লাস পানি খেয়ে মাগরিবের নামাজ পড়ে নিন। এতে নামাজ সময়মতো আদায় হয়ে যাবে এবং ততক্ষণে আপনার পেটও খাবার হজমের জন্য তৈরি হবে। নামাজ শেষ করে ইফতারের বাকি খাবার খাবেন। যারা এভাবে খেয়ে অভ্যাস্ত, তারা তুলনামূলক অনেক কম ক্লান্ত হন।

 

পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট