চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

শ্বাসযন্ত্রের বড় ক্ষতি ধূমপানে

অনলাইন ডেস্ক

২৫ মার্চ, ২০২৩ | ১২:১৮ পূর্বাহ্ণ

ধূমপানে ফুসফুসের ওপর প্রচণ্ড প্রভাব পড়ে। তাই প্রতিবার যক্ষ্মা দিবসে শ্বাসযন্ত্রের ওপর ধূমপানের প্রভাব নিয়ে আলোচনা হয়। যক্ষ্মা ছাড়াও সিওপিডি ও ফুসফুসের ক্যান্সারের অন্যতম প্রধান কারণ ধূমপান।

 

এবার বিশ্ব যক্ষ্মা দিবসের স্লোগান হলো—হ্যাঁ, আমরা যক্ষ্মাকে নির্মূল করতে পারব। ১৮৮২ সালেই এই দিন যে জীবাণু যক্ষ্মা ঘটানোর জন্য দায়ী সেই মাইক্রো ব্যাকটেরিয়াম টিউবারকুলোসিস আবিষ্কারের কথা ঘোষণা দেন বিজ্ঞানী রবার্ট কক। তখন থেকেই বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস পালিত হয়ে আসছে।

 

যক্ষ্মা একটি তীব্র সংক্রামক রোগ। যক্ষ্মা রোগীর হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে যে সূক্ষ্ম বিন্দু কণা বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে, তা নিঃশ্বাসের সঙ্গে সংক্রমিত হয় অন্যের শরীরে। একসময় এর চিকিৎসা করা কঠিন ছিল। প্রবাদ ছিল ‘যার হয় যক্ষ্মা তার নাই রক্ষা’। এই প্রবাদ আর এখন সত্য নয়। সক্রিয় টিবি বা যক্ষ্মা চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময় হয়। আর যদি প্রচ্ছন্ন টিবি হয় তাহলেও এর চিকিৎসা আছে। প্রচ্ছন্ন টিবি সংক্রামক নয়।

 

লক্ষণ:
১) তিন মাসব্যাপী কফ ও কাশি থাকা
২) শ্বাসযন্ত্রের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া
৩) বুকে ব্যথা
৪) কফ ও কাশির সঙ্গে রক্ত যাওয়া যক্ষ্মার লক্ষণ

 

চিকিৎসা: লক্ষণ প্রকাশ পেলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। নিজে নিজে কোনো ওষুধ গ্রহণ করা যাবে না। যে ওষুধ চিকিৎসক দেবেন তা খুব সতর্কভাবে মান্য করতে হবে। নিয়মিত মাত্রা মতো এবং যে পর্যন্ত গ্রহণের জন্য বলা হবে, তা পালন করতে হবে। এতে গাফিলতি করলে টিবির জীবাণু রেজিস্ট্যান্ট হতে পারে। টিবির ওষুধ নিলে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়। যেমন পেটে অস্বস্তি, ত্বকে চুলকানি, র‌্যাশ, বমি ভাব, বমি, ঝাপসা দৃষ্টি, মূত্রের রং বদল, দুর্বলতা, ক্লান্তি দেখা দিতে পারে। ভয়ের কিছু নেই। ওষুধের কোর্স শেষ হলে এসব চলে যাবে।

 

জেনে নিন: ফুসফুসের ক্ষতির জন্য ধূমপান ৪০ শতাংশ হলে বায়ুদূষণের দায় ৬০ শতাংশ। বায়ুদূষণ যেহেতু একক প্রচেষ্টায় কমানো সম্ভব না সেহেতু ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করাই উত্তম। মনে রাখবেন, যক্ষ্মা ছাড়াও জটিল রোগ ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ বা সিওপিডি ও ফুসফুসের ক্যান্সারের জন্য ধূমপান দায়ী। তাই ফুসফুস সতেজ রাখতে হলে ধূমপান ত্যাগ করার বিকল্প নেই। তথ্যসূত্র: কালের কণ্ঠ

 

পরামর্শ দিয়েছেন: অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী, সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ।

 

 

পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট