প্রাচীন সংস্কৃতিতে বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে ব্যবহার করা হতো জলপাই গাছের পাতা। এই পাতার রয়েছে জাদুকরী উপকারিতা। সাম্প্রতিক সময়ের গবেষণাগুলোতেও এটি ব্যবহারের ইতিবাচক দিকগুলো উঠে এসেছে।
মূলত সব স্বাস্থ্যকর গুণের শুরু ফিটোকেমিক্যাল নামক উপাদান থেকে। ফিটোকেমিক্যাল পাওয়া যায় গাছগাছালি বা উদ্ভিদের মধ্যে। জলপাইয়ের পাতার মধ্যে অলিওরোপিয়েন নামক এক ধরনের ফিটোকেমিক্যাল পাওয়া যায়। এর রয়েছে বিভিন্ন উপকারিতা যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ : উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে জলপাইয়ের পাতার মধ্যে থাকা অলিওরোপিয়েন । এটি রক্তনালীকে শিথিল করতে সাহায্য করে। রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে, অনিয়মিত হৃদস্পন্দন কমায়। এ ছাড়া করনারি আর্টারিতে রক্ত চলাচল ঠিক রাখতে কাজ করে।
ডায়াবেটিস : গবেষণায় দেখা গেছে, জলপাইয়ের পাতা রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি ‘টাইপ টু’ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে। জলপাইয়ের পাতা শরীরের স্বাস্থ্যকর টিস্যুগুলোকে সুরক্ষা দেয়।
ক্যানসার প্রতিরোধ করে : জলপাইয়ের পাতার নির্যাস স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি ক্যানসার তৈরিকারী কোষ বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। এছাড়া টিউমারের বৃদ্ধিও কমিয়ে দেয়।
এন্টি ভাইরাল এবং এন্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান : জলপাইয়ের পাতার মধ্যে রয়েছে এন্টি ভাইরাল এবং এন্টিব্যাকেটিরিয়াল উপাদান। এটি বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে। এ ছাড়া এতে রয়েছে এন্টি অক্সিডেন্ট।
হাড়ের গঠন : জলপাইয়ের পাতা হাড় তৈরি কারী কোষকে তৈরি হতে উদ্দীপ্ত করে।
একে মোটামুটি নিরাপদ খাবারই বলা যায়। জলপাইয়ের পাতার নির্যাস তরল আকারে বা শুকিয়ে গুঁড়ো করে খেতে পারেন। জলপাইয়ের পাতার চা বানিয়েও খেতে পারেন।
পূর্বকোণ/তাসফিয়া