চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ডায়াবেটিক রোগীদের ইনফেকশন হলে যা করণীয়

অনলাইন ডেস্ক

১৬ জানুয়ারি, ২০২৩ | ৯:৩৫ অপরাহ্ণ

ডায়াবেটিক রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সাধারণ মানুষ থেকে কম থাকে। তাই বিভিন্ন ধরনের জীবাণু দ্বারা সহজেই আক্রান্ত হয় তারা। একবার ইনফেকশন হলে তা সহজে সারতে চায় না।

 

যে ইনফেকশনগুলো বেশি হয়:

পায়ে ইনফেকশন: ডায়াবেটিক রোগীদের পায়ের সংবেদনশীলতা কম থাকে। তাই পায়ের তলায় আঘাত পেলে টের পাওয়া যায় না এবং ছোট ছোট ঘা হয়ে তা আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে। এ ছাড়া ডায়াবেটিক রোগীদের পায়ে রক্ত চলাচল কম থাকায় এগুলো সহজে শুকাতে চায় না। গুরুতর অবস্থায় গিয়ে পৌঁছালে পা কেটে ফেলতে হতে পারে।

প্রতিরোধে করণীয়:
১) শোবার আগে পা পরীক্ষা করা, কোনো আঘাত লেগেছে বা ঘা হয়েছে কি না
২) পায়ের মাপমতো নরম জুতা পরা, খালি পায়ে না হাঁটা।

 

ছত্রাক দ্বারা ইনফেকশন: ডায়াবেটিক রোগীরা সহজেই ছত্রাক (ফাঙ্গাস) দ্বারা আক্রান্ত হয়। হতে পারে তা ত্বকে চুলকানি বা দাদ, মাসিকের রাস্তায় ইনফেকশন হতে চুলকানি এবং সাদা স্রাব, নখে ফাঙ্গাস দিয়ে ইনফেকশন, পায়ের আঙুলের ফাঁকে ইনফেকশন।

প্রতিরোধে করণীয়: পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা, প্রয়োজনে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া।

প্রস্রাবে ইনফেকশন: অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস থাকলে প্রস্রাবে বারবার ইনফেকশন হয় এবং এ থেকে কিডনিও বিকল হয়ে যেতে পারে।

 

লক্ষণ:
১) জ্বর আসা
২) শরীরে কাঁপুনি
৩) বারবার প্রস্রাবের বেগ আসা
৪) পিঠের পেছনের দিকে ব্যথা হওয়া

প্রতিরোধে করণীয়:
১) ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা
২) প্রস্রাব আটকে না রাখা
৩) পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা
৪) সহবাসের পর প্রস্রাব করে ঘুমানো
৫) বেশি করে পানি পান করা

 

অপারেশনের পর ইনফেকশন: ডায়াবেটিক রোগীদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ না করে অপারেশন করলে তা শুকাতে দেরি হয়। এমনকি সেখানে ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে। ডায়াবেটিক রোগীদের রক্তের শ্বেতকণিকা ভালোভাবে কাজ করতে পারে না। তাই ঘা শুকাতে দেরি হয়।

করণীয়:
১) ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা
২) ভিটামিন ‘সি’যুক্ত খাবার (যেমন—লেবু) খাওয়া
৩) ডিমের সাদা অংশ খাওয়া
৪) ভাত ও শর্করা জাতীয় খাবার কম খাওয়া

 

মুখে ঘা: ডায়াবেটিক রোগীদের বারবার মুখে ঘা এমনকি মাড়িতে এবং দাঁতের গোড়ায় ইনফেকশন হতে পারে। প্রতিরোধে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে এবং দাঁতের ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

পরামর্শ দিয়েছেন: ডা. মো. মাজহারুল হক তানিম, কনসালট্যান্ট, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মালিবাগ, ঢাকা।

 

পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট