চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

কাশির ঘরোয়া ওষুধ

অনলাইন ডেস্ক

১৫ জানুয়ারি, ২০২৩ | ১১:২৯ অপরাহ্ণ

ইচ্ছা করলে ঘরোয়া দাওয়াইয়ের মাধ্যমে বিরক্তিকর কাশির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। প্রাকৃতিক এসব উপাদানের মাধ্যমে কাশি উপশমের পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে।

লবণ পানিতে গারগল: কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে নিয়মিত গারগল করলে কাশির সমস্যা থেকে বেশ আরাম পাওয়া যায়। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে গারগল করে ঘুমাতে গেলে কফ পাতলা হয়ে যায় এবং কাশির প্রকোপ কম হয়।

 

তুলসী চা: শীতকালে তুলসীপাতা দিয়ে চা বানিয়ে খেলে সহজেই কাশি প্রতিরোধ করা যায়। এ ছাড়া এক গামলা ফুটন্ত গরম পানিতে তুলসীপাতা দিয়ে, তারপর মাথাটাকে একটা টাওয়েল দিয়ে ঢেকে নিয়ে জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিয়ে সেই পানির ভাপটা নিলে খুব দ্রুত কাশি সেরে যায়।

লবণ পানিতে গারগল: কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে নিয়মিত গারগল করলে কাশির সমস্যা থেকে বেশ আরাম পাওয়া যায়। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে গারগল করে ঘুমাতে গেলে কফ পাতলা হয়ে যায় এবং কাশির প্রকোপ কম হয়।

 

আদার রস: আদার এন্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ক্ষমতার কারণে তা কাশি নিরাময়ে খুব উপকারী। এক ইঞ্চি পরিমাণ আদা কুচি করে তা পানির সঙ্গে ফুটিয়ে নিয়ে এক কাপ পরিমাণ ঘন রস তৈরি করুন। তারপর এতে দুই চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। এটা কফ পাতলা করে গলা পরিষ্কার করবে, কাশি কমাবে। এসিডিটির সমস্যা থাকলে অবশ্যই মধু মিশিয়ে নেবেন।

মধু চা: আদা ও দারচিনি দিয়ে চা বানিয়ে তাতে দুই চা চামচ লেবুর রস এবং দুই চা চামচ মধু দিয়ে খেলে কাশি উপশম হয়। চা খাওয়ার অভ্যাস না থাকলে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে দুই চা চামচ লেবুর রস ও দুই চা চামচ মধু মিক্সড করে খেলেও কফ পরিষ্কার হয়।

 

আনারসের জুস: আনারসে ব্রোমেলিন নামের অ্যানজাইম থাকে, যা কাশি সারাতে সাহায্য করে। দিনে তিনবার ৩.৫ আউন্স করে আনারসের জুস খেলে কাশি সেরে যায়। তবে ব্রোমেলিনে অ্যালার্জি থাকলে এই জুস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। তবে অন্য কোনো রোগের কারণে এসব ক্ষতিকর বা নিষেধ কি না তা জেনে নিতে হবে।

পরামর্শ দিয়েছেন: উম্মে সালমা তামান্না, পুষ্টিবিদ, ইবনে সিনা কনসালটেশন সেন্টার, বাড্ডা

 

পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট