চট্টগ্রাম বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪

বছরে বিশ্ব জুড়ে প্রায় ৫২ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর কারণ চিকিৎসা-বর্জ্য!

অনলাইন ডেস্ক

৬ ডিসেম্বর, ২০২২ | ১০:০৪ অপরাহ্ণ

চিকিৎসকদের দাবি তো বটেই পরিবেশবিদদের মতেও, রক্তমাখা তুলো, গজ, সিরিঞ্জের মতো চিকিৎসা-বর্জ্য পরিবেশ এবং জনস্বাস্থ্যের পক্ষে যথেষ্ট ক্ষতিকারক। বিশ্ব জুড়ে এই চিকিৎসা-বর্জ্য বেশ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে পরিবেশবিদদের।

 

চিকিৎসা-বর্জ্যের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরতে লখনউয়ের কিং জর্জ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি (কেজিএমইউ) গত ২৯ অক্টোবর ‘বায়ো-মেডিক্যাল বর্জ্য ও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য টেকসই কাট-এজ প্রযুক্তি’ বিষয়ে একটি কর্মশালার আয়োজন করে। এই কর্মশালায় জানা যায়, ‘উন্নয়নশীল দেশগুলির হাসপাতালগুলিতে প্রতিদিন গড়ে আড়াই থেকে তিন কিলোগ্রাম জৈব-বর্জ্য তৈরি হয়। কোভিড-১৯-এর পরবর্তী সময় চিকিৎসা-বর্জ্যের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। মহামারি চলাকালীন, কেবল ভারতেই প্রতিদিন ৬৫৬ টন ওজনের বায়ো-মেডিক্যাল বর্জ্য তৈরি হয়েছিল। অনুমান করা হচ্ছে যে, সারা বিশ্বে চিকিৎসা-বর্জ্যের কারণে সৃষ্ট রোগের ফলে ৪০ লক্ষ শিশু সহ ৫২ লক্ষেরও বেশি মানুষ মারা যায়।’

 

পরিবেশবিদদের মতে, রক্তমাখা তুলো, গজ, সিরিঞ্জের মতো চিকিৎসা-বর্জ্য পরিবেশ এবং জনস্বাস্থ্যের পক্ষে যথেষ্ট ক্ষতিকারক। তাই আর পাঁচটা বর্জ্যের মতো এগুলিও নির্দিষ্ট উপায়ে নষ্ট করে ফেলা উচিত। চিকিৎসা-বর্জ্য নষ্ট করার নির্দিষ্ট পদ্ধতি ও নিয়ম রয়েছে। কিন্তু এখনও বড় বড় শহরে চিকিৎসা-বর্জ্য নিয়ে তেমন সচেতনতা এবং পরিকাঠামো গড়ে ওঠেনি। শুধু সরকারি নয়, অনেক বেসরকারি হাসপাতালও একই দোষে দুষ্ট।

 

চিকিৎসা-বর্জ্য নিষ্কাশন এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত নির্দেশিকা আপডেট করার প্রয়োজনীয়তার পাশাপাশি হাসপাতালগুলিতে যাতে সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়, সেই উদ্দেশ্যে কর্মীদের একজোট হয়ে কাজ করা উচিত বলে পরিবেশবিদরা মনে করেন।

 

পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট