চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

যকৃতে চর্বি জমলে যা খাবেন

অনলাইন ডেস্ক

১২ অক্টোবর, ২০২২ | ১০:২৫ অপরাহ্ণ

শরীরে শক্তির জন্য যকৃতসহ দেহের বিভিন্ন জায়গায় চর্বি জমা করে থাকে। অতিরিক্ত ওজন, ডায়াবেটিস, রক্তে অতিরিক্ত মাত্রায় ট্রাইগ্লিসারাইড বেড়ে যাওয়া, ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যাওয়া এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া, অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন, কার্বোহাইড্রেট ও চর্বির বিপাকে সমস্যার কারণে লিভারে ফ্যাট জমে। তথ্যসূত্র: বণিক বার্তা

ফ্যাটি লিভার রোগ লিভারের ক্ষতি করে, এটি রক্ত থেকে বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ করতে এবং পাচনতন্ত্রের জন্য পিত্ত উৎপাদন করতে বাধা দেয়। যখন লিভার ঠিকভাবে এই কাজগুলো সম্পাদন করতে পারে না, তখন একজন ব্যক্তির সারা শরীরে অন্যান্য সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।

যাদের ঝুঁকি বেশি:
১) স্থূলকায় ব্যক্তি
২) যাদের দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত
৩) দিনের বেশির ভাগ সময় যারা বসে কাজ করে
৪) যে শিশুরা খেলাধুলা বা ব্যায়াম করে না, ফাস্ট ফুড, কোল্ড ড্রিংকস, আইসক্রিম, চকোলেট বেশি খায় তাদের ফ্যাটি লিভার হওয়ার ঝুঁকি বেশি

ফ্যাটি লিভার দুই প্রকার। এলকোহলিক ও নন-এলকোহলিক। সঠিক খাদ্যাভাস ও ব্যায়ামের মাধ্যমে নন-এলকোহলিক ফ্যাটি লিভার নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

করণীয়:
১) খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত শাক-সবজি ও ফলমূল রাখতে হবে। পাশাপাশি উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার, যেমন—লাল চাল, লাল আটা, ওটস, লাল চিড়া বা এগুলো থেকে তৈরি সামগ্রী।
২) খাদ্য তালিকায় মৌসুমি ফলমূল ও শাকসবজি রাখতে হবে।
৩) সঠিক ফ্যাট নির্বাচন করতে হবে। বিশেষত ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড (মাছের তেল, বাদাম, ফ্ল্যাক্সসিড ইত্যাদি) ও মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড (অলিভ ওয়েল, বাদাম ইত্যাদি) সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
৪) প্রোটিন নির্বাচনে সচেতন হতে হবে অর্থাৎ লাল মাংসের পরিবর্তে মুরগি এবং সপ্তাহে কমপক্ষে দুই-তিন দিন মাছ খেতে হবে। সম্ভব হলে সপ্তাহে এক দিন সামুদ্রিক মাছ খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে।
৫) কফি, গ্রিন টি, কাঁচা হলুদ, কাঁচা রসুন ও এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
৬) ওজন বেশি হলে অতিরিক্ত ওজন কমাতে হবে, রক্তের চর্বি বেশি থাকলে বা ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত থাকলে সেগুলো নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।
৭) অ্যারোবিক এক্সারসাইজ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন:
১) সফট ড্রিংকস
২) চকোলেট
৩) আইসক্রিম
৪) এলকোহল
৫) বেকারির খাবার
৬) ডুবো তেলেভাজা খাবার
৭) বাসি খাবার, ফাস্ট ফুড
৮) অতিরিক্ত লবণ ও টেস্টিং সল্ট
৯) প্রক্রিয়াজাত খাবার
১০) মসলাদার ভুনা
১১) গরু-খাসির মাংস
১২) বাটার
১৩) চিনি বা সরল শর্করা জাতীয় খাবার

পরামর্শ দিয়েছেন: পুষ্টিবিদ নাহিদা আহমেদ, গুলশান ডায়াবেটিক কেয়ার

 

পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট