চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

ঈদে যেভাবে সুস্থ থাকবেন হৃদরোগীরা

স্বাস্থ্য ডেস্ক

১০ আগস্ট, ২০১৯ | ৫:৪২ অপরাহ্ণ

আর দু’দিন পর ঈদুল আজহা । এই দিনে মাংস রান্না হয় অন্য যেকোনো দিনের থেকে বেশি। আর একারণেই হৃদরোগীরাও অতিরিক্ত তৈলাক্ত জাতীয় খাবার খেয়ে ফেলেন। এরপরেই বেড়ে যায় অসুস্থতা। তবে একটু সচেতন হলে কিন্তু ঈদের সময়টা সুস্থ থেকে আনন্দে কাটানো যায়।

কিছু নিয়ম মেনে চললেই ঈদের দিনগুলোতেও হৃদরোগীরা থাকবেন সুস্থ। ঈদের দিনে এক দিনে হঠাৎ বেশি খাবার খাওয়া যাবে না। হজমে সমস্যা হতে পারে। হৃদরোগীর নিজের চাহিদা ও হজম ক্ষমতা হিসাব করে খেতে হবে। গরুর মাংস, খাসির মাংস, মুরগির মাংস, ইলিশ মাছ ভাজা কিংবা কলিজা ভাজার মতো ভারী খাবার ঈদের দিন বেশি থাকে। কম থাকে হালকা খাবার যেমন- চপ, কাটলেট, সেমাই, জর্দা বা নুডলস।

সকালে নিজ বাসায় অল্প পরিমাণে হালকা খাবার সেমাই, জর্দা খেয়ে ঈদগাহে ঈদের নামাজ পড়ে বন্ধু-আত্মীয়দের বাসায় যেতে পারেন। খাবার গ্রহণের সময় হৃদরোগীকে তেল, চর্বি-মিষ্টির পরিমাণ কম এমন খাবার খেতে হবে পরিমাণমত। কম চর্বি শোষণ, ভাল হজম ও শরীর ফিট রাখার জন্য সালাদ, বাদাম, আঙ্গুর ও লেটুস পাতা এসব কিছুটা খেতে হবে। অল্প পরিমাণ লেবুর রস খেতে পারেন।

সব সময় অল্প অল্প খেতে হবে। নিজের খাদ্য শক্তির চাহিদার কথা মাথায় রাখতে হবে। সারাদিনে ২৫০০-৩০০০ ক্যালরি গ্রহণ করা যাবে।

চর্বি, শর্করা ও আমিষ জাতীয় খাবারের প্রতি গ্রাম থেকে যথাক্রমে ৯, ৪ ও ৪ ক্যালরি খাদ্যশক্তি আসে। চিনি জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া যাবে না। কারণ শরীরে প্রবেশের পর চিনি লিভারে গিয়ে চর্বিতে পরিবর্তিত হয়ে যাবে। তাই চিনি কম খেতে হবে আপনার ডায়াবেটিস থাকুক বা না থাকুক।

হৃদরোগীকে চাহিদানুযায়ী পরিমিত খাদ্য গ্রহণ করতে হবে যা সহজে হজম হয় ও কম তেল-চিনিযুক্ত। এছাড়া কাঁচা লবণ ও ধূমপান একেবারেই করা যাবে না।

পূর্বকোণ/তাসফিয়া

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট