২০ আগস্ট, ২০২২ | ১২:১৬ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

আদা এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। যা শরীরের রোগ-জীবাণুকে ধ্বংস করতে সহায়তা করে। কাঁচা আদায় রয়েছে অতুলনীয় পুষ্টিগুণ। জ্বর, ঠাণ্ডা, শরীর ব্যথায় বেশ উপকারী। বডি টেম্পারেচারের ভারসাম্য ধরে রাখতে সহায়তা করে। ঋতু পরিবর্তনের সময় শ্বাসকষ্ট বা এজমা, মাইগ্রেনের সমস্যা কমাতে আদা কুচি করে নিয়মিত খেলে উপকার পাওয়া যায়।

আদা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে হাড়ের জোড়ায় সৃষ্ট ব্যথা এবং আর্থ্রাইটিসে আক্রান্তদের প্রদাহ দূর করে। এতে উপস্থিত জিঞ্জারোল নামের প্রদাহরোধী উপাদানটি প্রদাহজনক সাইটোকিন গঠন প্রক্রিয়াকে দমন করে। জিমে ব্যায়াম করতে যাওয়ার আগে আদা খেলে ব্যথা কম হয়। কারণ এটি প্রাকৃতিক ব্যথা উপশমকারী এবং প্রদাহরোধী উপাদান হিসেবে কাজ করে। এছাড়া বমিভাব দূর করা ছাড়াও হজম শক্তি বাড়াতে এবং অস্বস্তিকর পেট ফাঁপা থেকে রক্ষা করে। মস্তিষ্কের আলঝেইমারস রোগের সমস্যায় উপকারী। মস্তিষ্কে অপ্রয়োজনীয় এমিলয়েড প্রোটিন জমা হওয়ার মাধ্যমে এই রোগের সৃষ্টি হয়। আদা এই স্নায়ুক্ষয়ী প্রোটিন থেকে মস্তিষ্কের কোষগুলোকে প্রতিরক্ষা দিতে সক্ষম।

আদা রক্তে শর্করার পরিমাণ কমায় বলে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে রক্তচাপ সহজে নিয়ন্ত্রণে আসে। নিয়মিত আদা খেলে ইনসুলিনের ব্যবহারও কমে যায়। রক্তের জীবাণু দূর করতে এটি বেশ সহায়ক। শরীরের জমাট রক্ত দূর করতে সাহায্য করে। আদার নানা উপকারিতা থাকলেও গর্ভবতী নারী ও দাঁতে সমস্যা আছে এমন ব্যক্তির ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

পূর্বকোণ/আর