চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

ঘুমের মধ্যে শ্বাস বন্ধ রোগের লক্ষণ ও করণীয়

অনলাইন ডেস্ক

১২ আগস্ট, ২০২২ | ১১:৫০ অপরাহ্ণ

ঘুমের মাঝে শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো একটি জটিল সমস্যা হলো স্লিপ এপনিয়া। স্লিপ এপনিয়া হলে ঘুমের মাঝে দশ সেকেন্ড থেকে কিছু মিনিট সময় ধরে শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। আর এ সমস্যাতে ঘুমের মাঝে শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আমাদের রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণও কমে যায়। অক্সিজেনের অভাবে মস্তিষ্ক জেগে ওঠে এবং ঘুম ভেঙে যায়।

এ রোগে আক্রান্ত রোগীরা ঘুম ভাঙার পর শ্বাস নেয় এবং সঙ্গে সঙ্গে আবার ঘুমিয়ে পড়ে। খুবই জটিল অবস্থায় সারারাতে বারবার শ্বাস বন্ধ ও ঘুম ভাঙা এ চক্রটি চলতে থাকে। ফলে ঘুমিয়েও ঘুম পূরণ হয় না।

আর ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) হচ্ছে ফুসফুসের একগুচ্ছ রোগ। এ রোগের মাঝে রয়েছে দীর্ঘস্থায়ী ব্রঙ্কাইটিস ও এম্ফাসিমা দীর্ঘস্থায়ী অ্যাজমা। এটি সাধারণত আটকে থাকা বা সরু শ্বাসনালি অথবা অভ্যন্তরীণ কাঠামোর প্রদাহ অথবা ফুসফুসের বায়ু থলির ক্ষতির কারণে শ্বাসকষ্ট দেখা যায়। ফুসফুসের জার্নালে একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ৬৬ শতাংশ পর্যন্ত সিওপিডি রোগী স্লিপ এপনিয়ায় ভোগেন। স্লিপ এপনিয়ার সঙ্গে সিওপিডি যুক্ত হলে চিকিৎসকরা এটিকে ‘ওভারল্যাপ সিনড্রোম’ হিসাবে উল্লেখ করে থাকেন।

পালমোনারি হাইপারটেনশনের রোগীদের শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা এবং বুকে চাপ অনুভব করে। চিকিৎসা না করালে, সিওপিডির মতো পালমোনারি হাইপারটেনশন ও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে খারাপ হয়। স্লিপ এপনিয়াতে সৃষ্ট প্রদাহ সিওপিডিতে প্রদাহকে আরও খারাপ করতে পারে।

উপসর্গ: রাতে নাক ডাকা, রাতে হাঁপানি বা দম বন্ধ হয়ে যাওয়া বা অনুভব করা, সকালে মাথাব্যথা, দিনেরবেলা অতিরিক্ত ঘুম, স্থূলতা, দিনেরবেলা রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কম থাকা, দিনেরবেলা কার্বন ডাই অক্সাইড বৃদ্ধি পাওয়া, পালমোনারি হাইপারটেনশন, ডানদিকের হার্ট ফেইলিওর, পলিসিথেমিয়া (রক্তে লাল রক্ত কোষের উচ্চ ঘনত্ব), ডায়াবেটিস, হার্ট ফেইলিউর বা স্ট্রোকের ইতিহাস।

চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে পজিটিভ এয়ারওয়ে প্রেসার/পিএপি থেরাপি, অক্সিজেন থেরাপি, ব্রঙ্কোডাইলেটর এবং পালমোনারি রিহাবিলেশন। আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় বহুল প্রচলিত চিকিৎসা হলো পিএপি ডিভাইস এর ব্যবহার। এ মেশিনটি দ্বারা ঘুমের মাঝে শ্বাস বন্ধ সমস্যাটি দূর করা যায়। মেশিনটি দ্বারা একটি নির্দিষ্ট চাপে বাতাস প্রবাহ হয়, যা রোগীর নাক বা নাক-মুখ দিয়ে শ্বাসনালিতে প্রবেশ করে এবং স্লিপ এপনিয়া হতে বাধা দেয়। রাতের ভালো ঘুম এবং জীবনের মানের উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত চিকিৎসায় রোগের লক্ষণগুলো কমিয়ে দেয় এবং দীর্ঘমেয়াদি সমস্যাগুলোর ঝুঁকি কমায়।

 

পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট