চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ফাইল ছবি

যন্ত্রণাদায়ক স্মলপক্স ও মাঙ্কিপক্সের মধ্যে যে পার্থক্য

অনলাইন ডেস্ক

১১ জুন, ২০২২ | ৫:২৯ অপরাহ্ণ

বিশ্বজুড়ে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের খবর মিলছে। ইউরোপের দেশগুলোতে এর প্রভাব বেশি দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে আমেরিকা থেকে অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে এই মাঙ্কিপক্স। এই রোগের মূল উৎস আফ্রিকায় খুঁজে পাওয়া গেলেও তা এবার ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে।

স্মলপক্স ও মাঙ্কিপক্সের মধ্যে মিল: ভারতের বিশিষ্ট চিকিৎসক সুলেমান লাধানি বলেছেন, স্মলপক্সের মতো অতটা তীব্র নয় মাঙ্কিপক্স। যদি দুটি রোগই অর্থপক্সের মতো ভাইরাসের এক একটি ধরন থেকে শরীরে দানা বাঁধে। মূলত আফ্রিকায় এই মাঙ্কিপক্স দেখা যায়। তবে আফ্রিকার বৃষ্টি অরণ্য এর মূল উৎস। স্মলপক্সের মতোই মাথার যন্ত্রণা, র‌্যাশ, জ্বর দিয়ে শুরু হয় এই পক্স।

স্মলপক্স ও মাঙ্কিপক্সের মধ্যে পার্থক্য: মাঙ্কিপক্সের ফলে গ্ল্যান্ড বা লিম্ফ নোড বড় হওয়ার প্রবণতা থাকে। দুটি ক্ষেত্রেই সঙ্গে থাকে জ্বর। যদিও মাঙ্কিপক্সের মৃত্যুর হার ১০ শতাংশ, তবুও এই রোগে সচেতন থাকা প্রয়োজন। বলা হচ্ছে মাঙ্কিপক্স আসতে পারে পশু থেকে। ইঁদুর, কাঠবেড়ালির ত্বক বা তাদের আঁচড় থেকে এই পক্স হতে পারে। এ ছাড়া এই প্রাণীগুলোর রক্ত থেকে এই সমস্যা দানা বাঁধতে পারে। তবে যদি সেই প্রাণী নিজে এই রোগে আক্রান্ত থাকে, তবেই প্রাণী থেকে এই রোগ ছড়াতে পারে।

কীভাবে ছড়াচ্ছে মাঙ্কিপক্স: মাঙ্কিপক্স আক্রান্তে সর্দি, কাশি থেকে এই রোগ ছড়িয়ে যায়। আক্রান্তের সঙ্গে অনেকক্ষণ মুখোমুখি কথা বললে এই রোগ ছড়িয়ে যেতে পারে। যৌন মিলন থেকেও এই রোগ ছড়াতে পারে। এ ছাড়া এমন কোনো জিনিস, বা পোশাক, ভাইরাস আক্রান্তের রক্ত থেকে ছড়িয়ে যায় এই রোগ।

কীভাবে সেরে যায় এই রোগ: চিকিৎসক লাধানি বলেন, ২ সপ্তাহের মধ্যে সেরে যায় মাঙ্কিপক্স। এটি নিজে থেকেই সেরে ওঠে বেশিরভাগ সময়। তবে প্রয়োজনে ওষুধের দরকার পড়ে। অল্প থাকতেই বা লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসায় সেরে ওঠে মাঙ্কিপক্স। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

 

পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট