চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় মাশরুম

স্ট্রোক, স্নায়ু রোগ, ক্যান্সার থেকে শরীরকে রক্ষা করে

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০ জুলাই, ২০১৯ | ২:১৬ পূর্বাহ্ণ

মাশরুম কেবল খেতেই সুস্বাদু নয়, এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যও যথেষ্ট উপকারী। মাশরুম সালাদ হিসেবে, ভেজে, স্যুপ করে বা রান্না করে খাওয়া যায়। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় মাশরুম রাখা উচিত। তবে শুধু চাষ করে উৎপন্ন মাশরুম খেতে হবে। বুনো জায়গায় জন্মানো মাশরুম খাওয়া নিষেধ। মাশরুমে প্রচুর প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, অ্যামাইনো এসিড, এন্টিবায়োটিক ও এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এসব উপাদান ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধে ও ওজন কমাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মাশরুমে চর্বি ও শর্করা কম থাকায় এবং আঁশ বেশি থাকায় এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আদর্শ খাবার। এটি রক্তে চর্বি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং চুল পড়া ও চুল পাকা প্রতিরোধ করে। আমরা প্রতিদিন যেসব খাবার খেয়ে থাকি সেগুলোর চেয়ে মাশরুমের পুষ্টিগুণ তুলনামূলকভাবে বেশি বলে এটি শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে এবং শরীরকে সুস্থ রাখে। মাশরুম মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। প্রাকৃতিকভাবে মাশরুমেই সবচেয়ে বেশি ভিটামিন ও মিনারেল এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান। মাশরুমে সোডিয়ামের পরিমাণ খুবই কম থাকে এবং এতে উচ্চমাত্রার আঁশ এবং প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম থাকে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হৃদপি-ের কাজে সহায়তা করে। ওজন কমিয়ে পেশীবহুল শরীর তৈরি করতে সাহায্য করে মাশরুম। মাশরুমের ফাইবার বা আঁশ দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। এটি রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে এবং ওজন কমাতে সহায়তা করে। অধিক ফ্যাট সমৃদ্ধ লাল মাংসের পরিবর্তে মাশরুম গ্রহণ করলে ওজন কমানো সহজ হয়। মাশরুম গ্রহণ করলে রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন এবং

মিনারেলে ভর্তি মাশরুম ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। মাশরুমে এনজাইম ও প্রাকৃতিক ইনসুলিন থাকে যা চিনিকে ভাঙতে পারে। মাশরুমে যে ফাইবার থাকে, তা আমাদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কম রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়া মাশরুমে কোলেস্টরেল কমানোর অন্যতম উপাদান ইরিটাডেনিন, লোভাস্টটিন, এনটাডেনিন, কিটিন এবং ভিটামিন বি, সি ও ডি থাকায় নিয়মিত মাশরুম খেলে উচ্চ রক্তচাপ কমে যায়। মাশরুমে মানুষের শরীরের জন্য অত্যাবশ্যকীয় এন্টিঅক্সিডেন্ট পলিফেনল ও সেলেনিয়াম নামের এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এই অত্যাবশ্যকীয় এন্টিঅক্সিডেন্টগুলো মারাত্মক কিছু রোগ, যেমন- স্ট্রোক, স্নায়ুতন্ত্রের রোগ এবং ক্যান্সার থেকে শরীরকে রক্ষা করে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট