চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

সু স্থ থা কু ন

স্ট্রেস বাড়ায় ‘পরশ্রীকাতরতা’

১৯ জুলাই, ২০১৯ | ১২:৫৬ পূর্বাহ্ণ

সচেতনভাবে বেঁচে থাকতে গেলে জীবনে স্ট্রেস থাকবে। রোজকার জীবনধারণের জন্য আমাদের কাজ করে যেতে হয়। তার একটা চাপ তো আছেই। বেঁচে থাকার জন্য নানান আবর্তের মধ্য দিয়ে প্রত্যেককে যেতেই হয়। তাই এর নাম ‘স্ট্রেস অব সারভাইভ’।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে স্ট্রেস নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয় পঞ্চাশের দশকে। ১৯৫৫-’৫৬ সালে চিকিৎসা বিজ্ঞানের অভিধানে আসে স্ট্রেস নামক শব্দটি। সত্যি কথা বলতে কী, বেসিক স্ট্রেস না থাকলে বেঁচে থাকাই দুষ্কর। আসলে, বেঁচে থাকার লড়াই করতে মনের চাপ অবশ্যম্ভাবী। তবে এখানে একটা কথা জেনে রাখা ভাল। স্ট্রেস মূলত দু’ধরনের- পজিটিভ ও নেগেটিভ। পরিবারের প্রতি দায়িত্ব পালন, নিজের পেশার প্রতি দায়িত্ববোধ, সামাজিক দায়বদ্ধতা, সবই পজিটিভ স্ট্রেস। আর অন্যের প্রতি হিংসা, দ্বেষ, রাগ, পরশ্রীকাতরতা- এ সব নেগেটিভ স্ট্রেস।
অন্যের সাফল্য, সমৃদ্ধি দেকে প্রবলভাবে ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়াই পরশ্রীকাতরতা। বলা যায়, জীবনের সব থেকে বড় স্ট্রেসই হল পরশ্রীকাতরতা। কেন পাশের বাড়ি আমার বাড়ির থেকে বড় বা ওরা বড় গাড়ি কিনল, আমরা কেন ছোট গাড়ি চড়ব ! বন্ধু, ভাই বা বোনের ছেলেমেয়ে কেন নামী ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়ে ! আমার ছেলেমেয়েকেও সাধ্যের বাইরে গিয়ে সেই স্কুলেই ভর্তি করতে হবে। কেন মন্ত্রীদের ছবি সব সময় কাগজে বেরোবে, কেন ওই মানুষটা এত গুরুত্ব পাবে, আমি কেন নয় ! এগুলো সবই নেগেটিভ স্ট্রেস।
তাই আত্মবিশ্লেষণ করে দেখতে হবে কোনটা পজিটিভ স্ট্রেস আর কোনটা নেগেটিভ। ভাল চিন্তা উন্নতি আনে, আর ঈর্ষা থেকে মন ভার এবং অসুখবিসুখের সূত্রপাত হয়। আবার যাঁরা আধ্যাত্মিক জগতের মানুষ, তাঁদের জীবনেও কিন্তু স্ট্রেস আছে। এগিয়ে থাকা মানুষকে ঈর্ষা না করে তাঁর ভালটা শেখার চেষ্টা করলে জীবনে জটিলতা কমে যাবে। অকারণ রেষারেষি জীবনের স্ট্রেস বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে জটিলতা বাড়ায়। এটা এক ধরনের আত্মহনন ছাড়া আর কিছুই নয়।
তাই নিজের সীমাবদ্ধতা জেনে নিয়ে সুখী হওয়ার চেষ্টা করাই অকারণ স্ট্রেস রিলিফের সব থেকে বড় উপায়। আশপাশের মানুষকে কনুই দিয়ে খোঁচা না দিয়ে নিজের সোজা পথে হাঁটা স্ট্রেস কাটানোর সেরা উপায়।
সূত্র : আনন্দবাজার।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট