চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

ভাইরাল জ্যানথেম : শিশুর ত্বকে ভাইরাল র‍্যাশ

২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ | ২:০১ অপরাহ্ণ

অনেকসময় শিশুদের শরীরে লালভাবসহ বিচি দেখা দিতে পারে। ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক কিংবা এলার্জি একজিমা এর জন্য দায়ী হলেও এই অধ্যায়টি ভাইরাসবাহিত র‍্যাশ নিয়ে সীমাবদ্ধ থাকবে- যেগুলিকে ভাইরাল জ্যানথেম বলা হয়।

রোসিওলা নামক ভাইরাল জ্যানথেম বা সিক্সথ ডিজিজ এর জন্য দায়ী হচ্ছে- হিউম্যান হারপিসভাইরাস ৬। এটি ২ বছরের নিচু শিশুদের বেশি দেখা যায়। কফ নিয়ে হঠাৎ উচ্চ মাত্রার জ্বর ৩ থেকে ৫ দিন থাকে এবং সাধারণত জ্বর চলে গেলে ছোট ছোট চিহ্ন নিয়ে গোলাপি র‍্যাশ পেট থেকে শুরু করে সারাদেহে ছড়িয়ে পরে। হাম বা মিজেলস শ্বাসতন্ত্রের একপ্রকার ভাইরাস জনিত। বিস্তৃতভাবে টিকা প্রদানের ফলে এটি অনেকাংশে কম দেখা যায়। এতে সর্দি ও লাল জ্বলজ্বলে চোখ নিয়ে উঁচু মাত্রার জ্বর দেখা দিতে পারে। ৩ থেকে ৫ দিন পর চুলের রেখা বরাবর সমতল লালচে র‍্যাশ দেখা দেয়, যা কিনা ধীরে ধীরে উঁচু হয়ে সারাদেহে বিস্তার লাভ করে। হ্যান্ড ফুট ও মাউথ ডিজিস কক্সেকিভাইরাস জনিত একটি রোগ। এটি সাধারণত ৫ বছরের নিচু শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। জ্বর ও গলাব্যথা দিয়ে শুরু হয়ে হাত পায়ের বিভিন্ন অংশে এবং মুখের ভেতর লালচে বিচি, ফুসকুরি বা ফোসকা জাতীয় র‍্যাশ দেখা যায়। ফিফথ ডিজিজ বা ইরেথেমা ইনফেকসিওসাম নামক রোগটির কারণ পাপোভাইরাস বি-১৯।

সর্দি, মাথা ব্যাথা এবং কখনো কখনো বমি ও ডায়রিয়া নিয়ে শুরু হওয়া রোগটিতে হালকা মাত্রার জ্বর থাকে। সাধারণত প্রাথমিক লক্ষণ-উপসর্গ মিলিয়ে যাবার পর গালে, হাতে, পায়ে ও শরীরে লালচে র‍্যাশ দেখা দেয়। এই র‍্যাশ গালে থাপ্পড় মারার ও অনান্য স্থানে লেইসের মতন দেখাতে পারে। রুবেলা বা জার্মান মিজেলস রোগটিতে সর্দি-কাশি, মাথাব্যথা, লাল চোখ, কানের পেছনে লিম্ফনোড বৃদ্ধিসহ হালকা জ্বর থাকে। চুলকানি নিয়ে লালচে বা গোলাপি র‍্যাশ-মুখ থেকে সারাদেহে ছড়িয়ে একিভূত হয়ে যেতে পারে। সাধারণত ৫০% ক্ষেত্রে কোন লক্ষণ-উপসর্গ থাকে না। চিকেন পক্স, মোলাসকাম এবং পিটাইরিয়াসিস রোসিয়া নামক ভাইরাল জ্যানথেম সমূহ নুতন করে আলোচনা করা হলো না। এছাড়া কম দেখা যায় এমন কিছু ভাইরাস জনিত রোগ রয়েছে যেখানে র‍্যাশ দেখা যায়। যেমন- ভাইরাল হেপাটাইটিস, এইডস, গুটিবসন্ত, ইনফেকশাস মনোনিক্লিওসিস, ইত্যাদি।

প্রতিরোধের প্রধান হাতিয়ার টিকা। উল্লেখিত বেশকিছু রোগের টিকা আবিষ্কৃত। এগুলি সময়মত গ্রহণ করতে হবে। প্রতিকারক চিকিৎসার জন্য কারণ নির্ণয় করে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। জ্যানথেমের জন্য স্থানীয়ভাবে ইমোলিয়েন্ট ব্যবহার সহ জ্বর ও চুলকানির জন্য যথাক্রমে প্যারাসিটামল ও এন্টি-হিস্টামিন ব্যবহৃত হতে পারে। জ্বর বেড়ে গিয়ে খিঁচুনি ও মেনিনজাইটিসের লক্ষণ-উপসর্গ দেখা দিলে সত্বর হাসপাতালে পরামর্শ নিতে হবে।

 

পূর্বকোণ/এসি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট