চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

রোগ ঠেকাতে কী খাবেন, কী খাবেন না

স্বাস্থ্য ডেস্ক

৫ জুলাই, ২০১৯ | ৫:২২ অপরাহ্ণ

নারীদের ওজন খুব বেশি হলে, অনেকেই ক্র্যাশ ডায়েট বা উপোশ করে রাতারাতি ওজন কমাতে চান। কিন্তু এটি একেবারেই অনুচিত।

যদি আপনার বয়স বেশি হয়,  ধরুন ষাটের কাছাকাছি, ডায়াবিটিক হন, কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ খান, কম বয়সে গর্ভনিরোধক বড়ি আর ঋতুবন্ধের পর হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপির কবলে পড়ে থাকেন, তবে বিপদের আশঙ্কা যথেষ্টই বেশি৷

এক্ষেত্রে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের বিপদ বেশি৷ জীবনের নানা পর্যায়ে, এমনকি গর্ভাবস্থাতেও, হরমোনের যে ওঠাপড়া হয়, সে কারণেই তাঁদের গলব্লাডারে পাথর জমার প্রবণতা বাড়ে৷

গলব্লাডারে পাথর হলে অপারেশন ছাড়া যেমন গতি নেই। অপারেশন পরবর্তী জীবনেও খাবারে একটু বিধিনিষেধ থাকে৷ পার্টি, বিয়েবাড়িতে গুরুভোজন করার আগে ভাবতে হয় দু’বার৷

কাজেই যদি এমন খাবার তথা জীবনশৈলীর কথা জানা যায়, যা রোগের ঝামেলাকে একটু হলেও দূরে রাখে, তো মন্দ কী। আসুন, রোগ ঠেকাতে গেলে কী খাবেন আর কী খাবেন না, তা দেখে নিন৷

রোগ ঠেকাতে যা খাবেন:

১. লো–ক্যালোরির সুষম খাবার খান৷ দরকার হলে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন৷

২. খাবারে যেন বৈচিত্র থাকে। রোজ এক ধরনের খাবার না খেয়ে সব রকম খাবার মিলিয়ে মিশিয়ে খান৷

৩. ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার রাখুন খাদ্যতালিকায়৷ যেমন, শাক, সব্জি, ফল, হোল গ্রেইন তথা ব্রাউন রাইস, আটা–জোয়ার–বাজরা ইত্যাদির রুটি, ব্রাউন ব্রেড, খোসাওলা ডাল ইত্যাদি৷

৪.  হজম করতে পারলে দিনে ২–৩ সার্ভিং লো–ফ্যাট দুধ বা দুধের তৈরি খাবার খান৷ এক সার্ভিং মানে হল ২৫০ মিলি দুধ বা এই পরিমাণ দুধে বানানো ছানা, ৫০ গ্রাম চিজ, ১৭৫ মিলিলিটার ইয়োগার্ট বা টক দই৷ ইয়োগার্টে ২ শতাংশের কম ফ্যাট থাকতে হবে৷ লোয়ার ফ্যাট চিজে দুধের প্রোটিন যেন ২০ শতাংশের কম থাকে৷ ক্রিম না খাওয়াই ভাল৷

৪. দিনে ২–৩ বার প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খান৷ এক বার খেলে, ৭৫ গ্রাম মাছ–মাংস বা চিকেন, দুটো ডিম, ৩/৪ কাপ বিন্‌স, শুকনো মটরশুঁটি বা মুসুর ডাল, ১৫০ গ্রাম বা ৩/৪ কাপ টোফু, ২ টেবিল চামচ পি–নাট বাটার, সিকি কাপ বাদাম৷

৬. মাংস বা চিকেনের যে অংশে চর্বি কম থাকে সেই অংশ খান৷ চিকেনের চামড়া ছাড়িয়ে নেবেন অবশ্যই৷ মাঝেমধ্যে নিরামিষ প্রোটিনও খাবেন৷

৭. রোজ কিছু না কিছু উপকারী ফ্যাট খান৷ বাদাম, মাছের তেল, এভোকাডো, অলিভ অয়েল তো খাবেনই, ঘি–মাখন বা অন্য তেলও পুরোপুরি বাদ দেওয়ার দরকার নেই৷ কারণ ফ্যাট না খেলে গলস্টোন হয় না, এমন নয়৷ উপকারী ফ্যাট না খেলে বরং নানা রকম সমস্যা হতে পারে৷

৮. চিনির উপকার নেই, উল্টো অপকার আছে বিস্তর৷ কাজেই সব রকম মিষ্টি স্বাদের খাবার খাওয়া বন্ধ করুন৷ ব্যতিক্রম ফল৷ তবে ফলও বেশি খাওয়া ঠিক নয়৷ ফলের রস তো নয়ই৷

৯. ক্যাফেইন সমৃদ্ধ খাবার বা পানীয় কম করে খান৷ দিনে বার তিনেক ২৫০ মিলিলিটার কফি খেতে পারেন৷ গর্ভাবস্থায় তা নেমে আসবে দু’কাপে৷ চকলেট বা নরম পানীয়র ব্যাপারেও সতর্ক থাকুন৷ চা একটু বেশি খাওয়া যায়৷ তবে তা-ও যেন মাত্রা না ছাড়ায়৷

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট