চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

মানুষ সুস্থ কিনা বলে দেবে জিহ্বা

অনলাইন ডেস্ক

১৩ জুলাই, ২০২১ | ১২:১২ পূর্বাহ্ণ

রোগ নির্ণয়ের বহু পদ্ধতি আছে। অনেক সময় জিহ্বা-ই বলে দেয় মানুষ সুস্থ কিনা। জিহ্বার রঙ দেখারও সময় আছে। রোগ নির্ণয় করতে হলে জিহ্বার রঙ দেখতে হবে খাবার খাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট পর।

দিনের আলোয় জিহ্বার রঙ দেখা সবচেয়ে ভালো। উন্নত লাইটের মাধ্যমে আপনি যে কোনো সময় জিহ্বার রঙ পরীক্ষা করতে পারেন। জিহ্বার রঙ পুরোপুরি নীল না হয়ে নীলাভ হতে পারে। সায়ানোসিসের ক্ষেত্রে জিহ্বা নীল বর্ণ ধারণ করতে পারে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে শরীরে অক্সিজেন দ্রুত কমে গেলে জিহ্বা এবং মুখের রঙ নীলাভ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে রোগীকে দ্রুত অক্সিজেন দিতে হবে। কালো রঙের জিহ্বা প্রচুর পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া জমা হওয়ার কারণে দেখা দিতে পারে।

জেনেটিক কারণেও কালো রঙের জিহ্বা দেখা যেতে পারে। মাঝে মাঝে অ্যান্টিবায়োটিক এবং গ্যাস্ট্রিকের কিছু ওষুধ সেবনের পর জিহ্বার রঙ কালো হয়ে যেতে পারে।

এ ছাড়া ফুসফুসের কিছু রোগ যেমন সিওপিডিতে জিহ্বার রঙ নীলাভ হতে পারে। কখনও কখনও কিডনি রোগে জিহ্বার রঙ হালকা নীলাভ হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের অভাবের কারণে জিহ্বার রঙ ফ্যাকাশে দেখা যায়।

এ ছাড়া স্কারলেট ফিভার এবং শিশুদের ক্ষেত্রে কাওয়াসাকি ডিজিজের ক্ষেত্রে জিহ্বার রঙ লাল হতে পারে।

আপনার হৃদযন্ত্রের কোনো রোগের ক্ষেত্রে জিহ্বার রঙ লাল হতে পারে। কালো অথবা হেয়ারি টাং ব্যাকটেরিয়ার বংশবৃদ্ধির লক্ষণ হতে পারে।

কিছু মাউথ ওয়াশ দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহার করলে জিহ্বার রঙ কালো হতে পারে। উজ্জ্বল লাল রঙের জিহ্বা দেখা গেলে বুঝতে হবে ফলিক এসিড অথবা ভিটামিন বি১২-এর অভাব থাকতে পারে।

ডায়াবেটিস রোগীদের অথবা এন্টিবায়োটিক ও কেমোথেরাপি নেওয়া রোগীদের ক্ষেত্রে জিহ্বা রঙ পরিবর্তন হতে পারে। হজম প্রক্রিয়ায় সমস্যা হলে জিহ্বার রঙ ধূসর হতে পারে। জিহ্বার উপরিভাগে সাদা আবরণ বেশি হলে সংক্রামক রোগ হতে পারে। কোনো বিষক্রিয়ার কারণে এমন হতে পারে।

লিভার ও পাকস্থলীর কোনো সমস্যা হলে জিহ্বার রঙ হলুদ অথবা হলুদাভ হয়ে থাকে। জিহ্বার ওপর ধূসর আস্তরণ গ্যাস্ট্রাইটিস ও পেপটিক আলসারের লক্ষণ। জিহ্বার ওপর বাদামি আস্তরণ ফুসফুসের কোনো রোগের লক্ষণ হিসেবে দেখা দিতে পারে। হজমের সমস্যার ক্ষেত্রে জিহ্বার ওপর হলুদ আস্তরণ পড়তে পারে।

পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট