করোনায় আক্রান্তদের বিছানার চাদর, বালিশ থেকে করোনাভাইরাসের জীবাণু ছড়ায় না। শুধু তাই নয়, হাসপাতালের যে ঘরে করোনায় আক্রান্তরা থাকেন, সেখানকার মেঝেও কোভিডের জীবাণুতে ভর্তি থাকে। কিন্তু তা থেকেও সংক্রমণ ছড়ায় না। সম্প্রতি একটি গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সান দিয়েগো স্কুল অব মেডিসিনের গবেষকরা করোনার সংক্রমণ নিয়ে গবেষণা করছিলেন। তাদের গবেষণা থেকেই উঠে এসেছে এমন কিছু নতুন তথ্য। তার মধ্যে অন্যতম হল স্পর্শ বা কোনো তোয়ালে থেকে এই ভাইরাসে বিপুল পরিমাণে ছড়িয়ে পড়ে না। মুখ থেকে বেরিয়ে আসা বাষ্পের মাধ্যমেই এর সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। এমনকি স্বাস্থ্যবিধি মেনে, যথাযথ ভাবে সাবধান হয়ে যে সব স্বাস্থ্যকর্মী কোভিড রোগীদের পরিচর্যা করেছেন, তাদের শরীরেও এই ভাইরাসের সংক্রমণের পরিমাণ অত্যন্ত কম।

শুধু তাই নয়, এই গবেষণায় উঠে এসেছে আরো একটি তথ্য। গবেষকরা করোনাভাইরাসের সাথে আরো একটি জীবাণু বা ‘মাইক্রোবস’-এর সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন। এই ভাইরাসের সংক্রমণ হলে অনেক ক্ষেত্রেই রোগীর শরীরে ওই জীবাণুটিও বাসা বাঁধে। আর এটিই হৃদরোগের অন্যতম কারণ। করোনায় আক্রান্ত হলে বহু রোগীরই পরবর্তী সময়ে হৃদরোগের আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। এই নির্দিষ্ট জীবাণুটি সম্পর্কে ভবিষ্যতে আরো বেশি করে জানা গেলে হৃদরোগের আশঙ্কা কমানো যাবে বলে আশা করছে গবেষকরা।

স্পর্শ বা কোনো কিছুর তল থেকে কোভিডের জীবাণু ছড়িয়ে না পড়লে, হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজ করার প্রয়োজন কী কমে যাবে? এখনই এর উত্তর দিচ্ছেন না গবেষকরা।

তারা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে। তবে গত বছরে যে সব গবেষণায় দাবি করা হয়েছিল, স্পর্শ থেকে এই ভাইরাস ব্যাপক পরিমাণে ছড়িয়ে পড়ে, সেই তত্ত্বকে কিছুটা প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে সাম্প্রতিক সময়ের এই গবেষণাটি। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ