চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

শনিবার পৌঁছবে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে

১ লাখ ১৪ হাজার চীনা টিকা পাচ্ছে বৃহত্তর চট্টগ্রাম

ইমাম হোসাইন রাজু 

১৭ জুন, ২০২১ | ১:৩৪ অপরাহ্ণ

অবশেষে বৃহত্তর চট্টগ্রামে আসছে চীন থেকে আসা করোনাভাইরাসের টিকা সিনোফার্ম। বৃহত্তর চট্টগ্রামের পাঁচ জেলার জন্য ইতোমধ্যে মধ্যে ১ লাখ ১৪ হাজার ডোজ টিকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে চট্টগ্রাম জেলায় পাওয়া যাবে ৯১ হাজার ২০০ ডোজ টিকা। যা আগামী শুক্রবার ভোরে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এসে পৌঁছবে বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। ইতোমধ্যে করোনার এ ভ্যাকসিন গ্রহণ ও সংরক্ষণের সব প্রস্তুতি শেষ করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষ।

শুধু চায়না ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল গ্রুপ বা সিনোফার্মের টিকাই নয়, একই সময়ে সমপরিমাণ টিকাদানের বিশেষ সিরিঞ্জও পাবে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলো। তবে টিকা পাওয়া গেলেও তা বিতরণের বা সাধারণের মাঝে প্রয়োগের কার্যক্রম শুরু হবে কি-না তা এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

যদিও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, দু-একদিনের মধ্যে সেই সিদ্ধান্তও এসে পৌঁছাবে। চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, শুক্রবার ভোরে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যাল লি. নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থায় পৌঁছাবে ১৫২ কার্টুন ভ্যাকসিন। এসব ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য ইতোমধ্যে ছয় সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বিতরণের জন্য কোন নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। আশা করছি সেটিও দু-একদিনের মধ্যে আসবে। সে অনুযায়ী আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

তথ্য অনুসারে, চট্টগ্রাম জেলার জন্য শনিবার ভোর ৬টার দিকে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল লি. এর নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থায় ১৫২ কার্টুন ভ্যাকসিন পাঠানো হবে। প্রতিটি কার্টুনে ৬০০ ডোজ টিকা থাকবে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে চট্টগ্রাম জেলা টিকা পাবে ৯১ হাজার ২০০ ডোজ। এসব টিকা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআই স্টোরে রাখা হবে। এছাড়া, কক্সবাজার জেলায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১০ হাজার ৮০০ ডোজ, রাঙামাটি জেলার জন্য ৪ হাজার ৮০০ ডোজ, খাগড়াছড়ি জেলার জন্য ৩ হাজার ৬০০ ডোজ এবং বান্দরবান জেলার জন্য ৩ হাজার ৬০০ ডোজ টিকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ধাপে ধাপে এসব ভ্যাকসিন স্ব-স্ব জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পৌঁছে যাবে। এসব ভ্যাকসিন কোল্ড স্টোর রুমে +২ ডিগ্রি থেকে +৮ ডিগ্রি সে. তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হবে। এরপর শুরু হবে টিকাদান কার্যক্রম।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের প্রথম ধাক্কা সামাল দেয়ার সময় গত বছরের নভেম্বরে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-এস্ট্রাজেনেকার তৈরি তিন কোটি ডোজ করোনারভাইরাসের টিকা কিনতে বেক্সিমকো ফার্মাকে যুক্ত করে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করে বাংলাদেশ। দুই দফায় ৭০ লাখ ডোজ টিকা পাঠানোর পর সেরাম রপ্তানি বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশ বেকায়দায় পড়ে যায়। এতে করে দেশে গণটিকাদান কার্যক্রম থুবড়ে পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়। যদিও দেশের মানুষদের সুরক্ষা দিতে বিকল্প উৎস থেকে টিকা সংগ্রহে মরিয়া সরকার।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট