তিসি নামের ছোট্ট শস্য দানার সঙ্গে পরিচয় আছে নিশ্চয়ই? দেখতে ছোট হলেও এর উপকারিতা কিন্তু অনেক। ১০০ গ্রাম তিসির বীজে ক্যালোরি রয়েছে ৩৩৫, শর্করা রয়েছে ২৮.৮৮ গ্রাম, প্রোটিন রয়েছে ১৮.২৯ গ্রাম, ২৭.৩ গ্রাম ফ্যাট, ৮ গ্রাম ফাইবার ও আরো একাধিক পুষ্টিগুণ। এই তিসির বীজের সাহায্যে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা সহজেই নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। চলুন জেনে নেয়া যাক,

তিসি বীজের কিছু উপকারিতা:

তিসি বীজে রয়েছে আলফা লিনোলিক এসিড যা হৃদযন্ত্রের নানা সমস্যা প্রতিরোধ করে।

তিসি আমাদের শরীরের ভালো কোলেস্টোরাল বাড়ায় এবং খারাপ কোলেস্টোরালকে কমায়। এটি রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

শরীরের দূষিত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। খাদ্য হজমে সহায়তা করে। অতিরিক্ত মেদ কমায়।

তিসির মধ্যে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট ব্লাড ক্যান্সার, ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

গ্যাস্ট্রিক ও আলসার দূর করে এবং এজমা থেকে রক্ষা করে তিসি।

তিসি আমাদের হৃদপিণ্ডকে সবল রাখতে কাজ করে। হার্টে ব্লক বা ইরেগুলার হার্টবিট রোধ করতেও অনেক সাহায্য করে।

তিসি আমাদের হতাশা ও দুশ্চিন্তা দূর করে। মেজাজ ফুরফুরে রাখে।

এটি আমাদের শরীরের ক্যালসিয়াম লেভেল বাড়ায়। ফলে হাড় ও শরীরের জয়েন্টগুলো সুস্থ থাকে। ফলে বৃদ্ধ বয়সে হাড্ডিজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

হাই ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করতে তিসির চা:

একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, তিসিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ‘ফাইটো এস্ট্রজেনিক লিগ্নান্স’ নামের উপাদান যা শরীরে ক্যান্সারের কোষ গঠনে বাঁধা প্রদান করে। এছাড়া তিসি বীজ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। যারা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন তারা তিসি বীজের চা খেয়ে দেখতে পারেন। উপকার পাবেন।

চলুন জেনে নেয়া যাক তিসি বীজের চা বানানোর উপায়–

একটি পাত্রে দেড় কাপ পানি মাঝারি আঁচে গরম করুন।

পানি ফুটে উঠলে তার মধ্যে ১ চামচ তিসি বীজ দিয়ে আরো মিনিট পাঁচেক ফুটিয়ে নিন।

এবার আঁচ থেকে নামিয়ে একটু ঠান্ডা করে এর সঙ্গে ১ চামচ মধু মিশিয়ে নিয়ে খেয়ে দেখুন এই চা। দিনে অন্তত এক কাপ করে নিয়মিত তিসি বীজের চা খেতে পারলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা।

পূর্বকোণ/ময়মী