চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

সু স্থ থা কু ন

ডেঙ্গু মশা থেকে রক্ষা পাবেন যেভাবে

১ জুলাই, ২০১৯ | ১:২৩ পূর্বাহ্ণ

এখন তীব্র গরম তবে সামনেই আসছে ঝড়-বৃষ্টির দিন। এই সময়ে ডেঙ্গু মশার আক্রমণ বেড়ে যায়। শহর বা গ্রাম সব স্থানেই এই অসুখের প্রকপ দেখা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এখন থেকে সতর্কতা না হলে জীবনও যেতে পারে। ব্লিচিং পাউডার বা কীটনাশক দিয়ে মশাকে মারা যায়। কিন্তু মশার ডিম বা লার্ভাকে ধ্বংস করার ক্ষমতা এগুলোর নেই। তাই এসব ছড়ানোর পরে আধঘণ্টা থেকে ১ ঘণ্টা পর্যন্ত কিছুটা প্রভাব থাকে তার বেশি নয়। বরং যে সব জায়গায় মশা ডিম পাড়তে পারে সেগুলো আগে ধ্বংস করা দরকার।
মশা থেকে বাঁচার ধাপ
ব্যবস্থা নিতে হবে যেন বাড়ির চারপাশে মশা ডিম না পাড়ে। অ্যানোফিলিস ও কিউলেক্স মশা জমা পানিতে ডিম পাড়ে। আশপাশে থাকা ফুলের টব, ডাবের খোসা, ইত্যাদিতে চার–পাঁচ দিনের বেশি সময় ধরে পানি জমতে দেয়া যাবে না। যে সব জায়গায় নতুন ভবন তৈরি হচ্ছে, সে সব ক্ষেত্রে সাবধান থাকতে হবে। জমে থাকা ইটের ফাঁকে বা বালি সিমেন্টের স্তূপে মশা বাস করতে ভালোবাসে। তাই এ সব জায়গা এড়িয়ে চলুন।
ব্লিচিংয়ে ভরসা রাখার চেয়ে পানি জমতে না দেয়া, আগাছা পরিষ্কার এসব দিকে নজর দিন বেশি করে।
ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করতেই হবে। শিশুদের মশারির ভিতরে রাখুন অবশ্যই। দরজা–জানালায় নেট ব্যবহার করেও মশার কামড় থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
ছোট শিশুদের ফুল হাতা জামা বা প্যান্ট পড়াতে হবে সন্ধ্যার পর। শরীরে মশানিরোধক রাসায়নিক ক্রিম মাখানোর চেয়ে চেষ্টা করুন ঘরোয়া পদ্ধতিতে মশা দূর করতে।
মশা মারার ওষুধ ব্যবহার করলে তা বদলে নিন মাঝে মধ্যেই। একই ওষুধ অনেকদিন ব্যবহার করলে মশা নিজের শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ফেলে।
জ্বর হলেই তিন দিনের সময়সীমা না নিয়ে প্রথমেই রক্তপরীক্ষা করান। রোগ ধরা পড়ার পর সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। তার পরামর্শ মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট