চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

গ্যাস্ট্রিক সমস্যা নিরসনে পটল

কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় ও ওজন কমতে সাহায্য করে

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৯ জুন, ২০১৯ | ২:১২ পূর্বাহ্ণ

পটলের অগণিত স্বাস্থ্য উপকারিতার কথা অনেকেই জানেন না। এই সবজিটি একটি পুষ্টিকর খাদ্য। এতে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি-১, ভিটামিন বি-২ ও ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম ও এন্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। আয়ুর্বেদে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধানে ব্যবহার করা হয়। এই সবুজ রঙের সবজিটিতে ভালো পরিমাণে ফাইবার থাকে যা খাদ্য হজমে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা সমাধানে এবং লিভারের সাথে সম্পর্কিত সমস্যা সমাধানেও সাহায্য করে। পটলের বীজ এমন একটি স্বাস্থ্যকর বীজ যা কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে এবং মল নির্গমনে সাহায্য করে। ওজন কমতে সাহায্য করে।
পটলে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে। তাই ওজন কমানোর জন্য নিশ্চিন্তে পটলের তরকারি খেতে পারেন। এটি পেট ভরা রাখতে ও ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে। পটলের আরেকটি স্বাস্থ্য উপকারিতা হচ্ছে এটি রক্তকে পরিশোধিত করে। এর ফলে ত্বকের যতেœও এই সবুজ সবজিটি ভালো কাজ করে। কোলেস্টেরল ও ব্লাড সুগার কমায়। পটলের ছোট গোলাকার বিচিগুলো কোলেস্টেরল ও ব্লাড সুগারের মাত্রা প্রাকৃতিকভাবে কমাতে সাহায্য করে। ফ্লু নিরাময়ে সাহায্য করে। আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় ঠা-া, জ্বর ও গলা ব্যাথা কমাতে ঔষধ হিসেবে ব্যবহার হয় পটল। পটলে ভিটামিন এ ও সি থাকে এবং এন্টি-অক্সিডেন্ট থাকে বলে ত্বকের জন্য উপকারী আর বয়সের ছাপ প্রতিরোধে সাহায্য করে পটল। পটলের রস মাথায় লাগালে মাথা ব্যথা কমে। পটলের পাতার রস

দ্রুত ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে এবং টাকের সমস্যা সমাধানেও কাজে লাগে। পটলের তরকারি খেলে ত্বকের সমস্যা দূর হয়।
নেপালে অসুস্থদের পটলের স্যুপ খাওয়ানো হয়। আমাদের দেশে পটল ভাজি, পটলের দোলমা, মাছ বা মাংসের সাথে বা অন্য সবজির সাথে রান্না করা হয়। দক্ষিণ এশিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে আলুর সাথে রান্না করা হয়। ইন্দোনেশিয়ায় পটল বৈচিত্রময় রান্নায় ব্যবহার করা হয় যেমন-স্টার ফ্রাই, নারিকেল দুধে অথবা ভাপে সিদ্ধ করে রান্না করা হয়। এটি এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়াতে পাওয়া যায়। সাধারণত এই সবজিটি গ্রীষ্মের সময় পাওয়া যায়।

­

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট