চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

চট্টগ্রামে প্রতি বছর বাড়ছে যক্ষ্মা আক্রান্তের সংখ্যা

মরিয়ম জাহান মুন্নী 

২৪ মার্চ, ২০২১ | ১২:৪৩ অপরাহ্ণ

নিয়মিত ঔষধ সেবনে ৯৬ ভাগ যক্ষ্মা রোগী সুস্থ হলেও প্রতি বছর চট্টগ্রামে এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তবে গেল বছর করোনাভাইরাসের কারণে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি (এনটিপি) এর তথ্য অনুযায়ী শুধু এ বছর যক্ষ্মায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কম দেখা যায়।

এছাড়া যক্ষ্মা নিয়ে কাজ করা সরকারি ও বেসরকারি এনজিও সংস্থাদের মাঠ পর্যায় কাজ করতে না পারায় ২০২০ সালে এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা কম পাওয়া যায়। তবে ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত এর সংখ্যা বৃদ্ধি পায় প্রায় ১০ হাজারের বেশি। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৪ সালে ১১ হাজার ৯শ’ ৮১ জন যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়েছিল। ২০১৯ সালে এ সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ১৯ হাজার ৮শ’ ১৩ জন হয়েছে।

জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির (এনটিপি) এর তথ্য অনুযায়ী দেখা যায় ২০২০ সালে সারাদেশে করোনা পরিস্থিতিতেও ২ লাখ ৩০ হাজার ৯২ জন যক্ষ্মারোগী শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে শুধু চট্টগ্রামেই শনাক্ত হয়েছে ১৪ হাজার ১শ’ ১৬ জন। সার্বিক যক্ষ্মা শনাক্তকরণে প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে ১২০ জনের কাছেই যক্ষ্মা সনাক্ত হয়।  গ্লোবাল টিবি রিপোর্ট-২০২০ অনুযায়ী বছরে এক লাখ মানুষের মধ্যে নতুন যক্ষ্মারোগী ২২১ জন শনাক্ত হয়। প্রতি লাখে মৃত্যু হয় ২৪ জনের।

যক্ষ্মা নিয়ে কাজ করা বেসরকারি এনজিও সংস্থা ব্র্যাক চট্টগ্রাম আরবানের প্রোগ্রাম অর্গানাইজার প্রাইভেট পাবলিক মিক্স এস এম ইমন বলেন, গেল বছর করোনার কারণে আমরা মাঠে নেমে কাজ করতে পারিনি। তাই এবছর যক্ষ্মার সঠিক সংখ্যা আমরা বলতে পারবো না। কিন্তু তারমধ্যেও শুধু চট্টগ্রামে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়েছে ১৪ হাজার ১শ’ ১৬ জন। তবে এটি শুধু ১৪ হাজারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এবছর এ সংখ্যা আরো বেশি বাড়ার কথা। কারণ করোনার উপসর্গ ও যক্ষ্মা উপসর্গ প্রায় একই।

একই তথ্য প্রধান করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি সেন্টারের গ্রোগ্রাম অর্গানাইজার গাজী মো. নুর হোসেন। তিনি বলেন, প্রায় তিন মাস যক্ষ্মা নিয়ে কাজ করা সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি এনজিওগুলো তাদের কাজ বন্ধ রেখেছিল। কারণ তখন কাশিজনিত যেকোনো সমস্যার জন্য করোনাভাইরাস বিষয় চিকিৎসা চলে। একারণে এখনো পর্যন্ত আমরা চট্টগ্রামে ২০২০ সালে ১৪ হাজার ১শ’ ১৬ জন মানুষের মধ্যে যক্ষ্মা শনাক্ত করতে পারি।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট